শিরোনাম
দিনাজপুরে শীতের পিঠার ব্যবসা জমজমাট
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩০
দিনাজপুরে শীতের পিঠার ব্যবসা জমজমাট
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা দিনাজপুরে শীতের তীব্রতাকে হার মানিয়েছে শীতের পিঠা। প্রচণ্ড শীতে জবুথবু মানুষগুলোও শীতকে উপেক্ষা করে শীতের পিঠা খেতে ছুটছে দোকান-রেস্তোরায়। নতুন চালের ভাপা আর চিতোই পিঠার সাথে রান্না করা হাঁস-কবুতর মাংসও বিক্রি হচ্ছে বেশ। ভোক্তার স্বাদের সাথে লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা।


বারো মাসে তেরো পার্বণের আমাদের এই বাংলাদেশে এখন শীতকাল। একেক পার্বণকে ঘিরে যেমন নানান আয়োজন করা হয়, তেমনি বাঙালির ঘরে ঘরে এ শীতের কুয়াশা ভেজা সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা আর পুলির আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যগতভাবেই। শীতের এই পিঠে উৎসবকে ঘিরে শহরের চিত্রটাও ভিন্ন।


নাগরিক ব্যস্ততা আর যান্ত্রিক সভ্যতার কারণে এখন আর যেমন বারো মাসে তেরো পার্বণ হয় না, তেমনি ইচ্ছে থাকলেও এখন অনেকেই আর ঘরে বানানো পিঠা খেতে পারছে না। শহরবাসীর এই শীতকালীন রসনা বিলাসে তাই রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে ওঠে বাহারি পিঠার পসরা। দোকানীরা পিঠা বানিয়ে স্বাদ মিটায় শহরের মানুষের। ধানের জেলা দিনাজপুরের অলিতে গলিতে, মোড়ে মোড়ে জমে উঠেছে এসব শীতের পিঠার দোকান।



অফিসগামী কিংবা বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে তাই অনেককেই দেখা যায় পিঠা খেতে। আর শহরবাসীর রসনার তৃপ্তি মেটাতে গিয়ে এক শ্রেণির মানুষের উপার্জন হচ্ছে এখান থেকেই। যা তাদের জীবনযাপনে সাহায্য করে। শুধু যে কর্মজীবী মানুষরাই এই পিঠা খেয়ে থাকেন, তা কিন্তু নয়। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তার ধারের পিঠার দোকানের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে।


গাড়ি থামিয়ে রাস্তা থেকে ভাপা কিংবা চিতই পিঠা কিনতেও দেখা যায় অনেককে। আবার কেউ কেউ কর্মস্থল শেষ করে ফিরতি পথে পরিবারের সদস্যদের জন্যও পিঠা নিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে, ভাপা (ভাকা) পিঠা, তেলের (অন্দশা) পিঠা, নুন (নুনিয়া) পিঠা, পাটি সাপটা পিঠা, চিতই (চিতুয়া), পিঠা, পানি পিঠাসহ নানান বাহারি পিঠা উল্লেখযোগ্য।


দিনাজপুর শহরের মালদহপট্রি সাধনার মোড় সংলগ্ন পিঠার দোকানে আসা পিঠা ক্রেতা মজিবর রহমান জানান, তার স্ত্রী শারমিন বাজারের পিঠা খেতে ভালোবাসেন। তাই তিনি ভাপা পিঠা প্রায়ই কেনেন। তাছাড়া বাড়িতে এখন পিঠা তৈরি করা সম্ভব হয় না। পথের ধারের পিঠাই ভরসা।



১৯ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করেন বাস্ট্যান্ড এলাকার মজিবর। তিনি জানান, নারিকেল কুরি ও খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। দামও বেশ হাতের নাগালেই। ভাপা পিঠা ৫ টাকা করে বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন ২ শতাধিক পিঠা বিক্রি হয় তার। দিনে তার লাভ থাকে প্রায় তিনশ’ টাকাও বেশি।


বিবার্তা/শাহী/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com