শিরোনাম
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে জামানত হারিয়েছেন ৩৯ প্রার্থী
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৫৫
টাঙ্গাইলের ৮টি আসনে জামানত হারিয়েছেন ৩৯ প্রার্থী
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

একাদশ সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল ৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বেশিরভাগ প্রার্থীরই জামানত হারিয়েছেন।


নির্বাচন কমিশনের সূত্র মতে জানা যায়, ৮টি আসনে ৫১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার মধ্যে ৩৯ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ৮টি আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮৫.৮২ শতাংশ। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি আসনের ভোট কাস্টিংয়ের এক অষ্টমাংশের কম ভোট পেলে সেই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।


ভোট গণনা শেষে ৮টি আসনে বিএনপির প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, লুৎফর রহমান খান আজাদ, সরকার শহিদ, জাতীয় পার্টির পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মুনির, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও মুরাদ সিদ্দিকীর জামানত হারিয়েছেন। তবে ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।


টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ৪ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,৬৪,৯৯১ এবং মোট কেন্দ্র-১৩৯টি। ভোট পড়েছে ৮২.২৩ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রতি প্রার্থীর প্রয়োজন ছিল ৩৭,৭২৫ ভোট। কিন্তু জামানত হারানো প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন বিএনপির শহীদুল ইসলাম ওরফে সরকার শহিদ (ধানের শীষ) ১৬,৪৪০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আবু মিল্লাত হোসেন (আম) ৭৩২, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আশরাফ আলী (হাত পাখা) ২,৫২৭, জাকের পার্টির সালামত হোসাইন খান (গোলাপ ফুল) ১,৮০৯ ভোট।


টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,৪৮,৬৭০ এবং মোট কেন্দ্র-১৩২টি। এর মধ্যে ৫ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৯০.৪১ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রতি প্রার্থীর প্রয়োজন ছিল ৩৯,১৬৬ ভোট। কিন্তু জামানত হারানো প্রার্থীরা ভোট পেয়েছেন বিএনপির সুলতান সালাউদ্দিন টুকু (ধানের শীষ) ৯,৮৮৯, বিকল্প ধারার মুনিরুল ইসলাম (কুলা) ১৪২, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এসএম শামছুর রহমান (হাত পাখা) ১,৪৪৫, জাকের পার্টির এনায়েত হক মঞ্জু (গোলাপ ফুল) ৯৭৭, কমিউনিস্ট পার্টির জাহিদ হোসেন খান (কাস্তে) ৯২৭ ভোট।


টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,১৮,৫৪৬ এবং ভোট কেন্দ্র- ১১৯টি। এর মধ্যে ৬ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮১.৬৫ শতাংশ। জমানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২,৩০১ ভোট। কিন্তু জামানত হারানো প্রার্থীরা পেয়েছেন বিএনপির লুৎফর রহমান খান আজাদ (ধানের শীষ) ৯,১২২, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির এসএম চান মিয়া (আম) ১,৩৯০, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের আবু হানিফ (ফুলের মালা) ২৪৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম (হাত পাখা) ৩,১২৪, জাকের পার্টির খলিলুর রহমান (গোলাপ ফুল) ১,৯০২, বিএনএফের আতাউর রহমান খান (টেলিভিশন) ১৯০ ভোট।


টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে ৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,১১,০৮৮ এবং ভোট কেন্দ্র- ১০৮টি। এর মধ্যে ৫ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮৫.০৭ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩২,৬৭২ ভোট। কিন্তু জামানত হারানো প্রার্থীরা পেয়েছেন স্বতন্ত্র আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী (ট্রাক) ৩১১, জাতীয় পার্টি-জেপির সাদের সিদ্দিকী (বাই সাইকেল) ১৫৪, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মির্জা আবু সাঈদ (হাত পাখা) ১,৬৮৩, জাকের পার্টির মোন্তাজ আলী (গোলাপ ফুল) ৫০১, জাতীয় পার্টির সৈয়দ মুশতাক হোসেন (লাঙ্গল) ৩৩০ ভোট।


টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,৮০,৩৩৮ এবং ভোট কেন্দ্র-১২৭টি। এর মধ্যে ৬ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮৬.০৮ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৪,৯৭১ ভোট। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ সিদ্দিকী (মাথাল) ২৮,৬৬০, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সফিউল্লাহ আল মুনির (লাঙ্গল) ১৮,৩৪১, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আবু তাহের (আম) ৯৭, বিএনএফ প্রার্থী শামীম আল মামুন (টেলিভিশন) ৯১, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী খন্দকার ছানোয়ার হোসেন (হাত পাখা) ৩,৮০৫, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের প্রার্থী সৈয়দ খালেকুজ্জামান মোস্তফা (বটগাছ)-৪১৫ ভোট।


টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,৯০,৪৪৬ এবং ভোট কেন্দ্র-১৪১টি। এর মধ্যে ৬ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮৬.০৯ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১,৫৭১ ভোট। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম (ট্রাক) ২,৮০৭, আবুল কাশেম (সিংহ) ০০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মামুনুর রহমান (আম) ২৪৯, বিএনএফ প্রার্থী সুলতান মাহমুদ (টেলিভিশন) ৩৩৬, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আখিনুর মিয়া (হাত পাখা) ৪,৩২৪, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (ফুলের মালা) ১৭২ ভোট।


টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে ৬ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,২২,৬৭৩ এবং ভোট কেন্দ্র- ১১৩টি। এর মধ্যে ৪ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮৭.০৭ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩১,৭৭৮ ভোট। কিন্তু জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির (লাঙ্গল) ৩১৭, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম (হাত পাখা) ১,০৯৭, খেলাফত মজলিশের প্রার্থী সৈয়দ মজিবর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ১১৩, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের প্রার্থী রুপা রায় চৌধুরী (বাঘ) ১৫৮ ভোট।


টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এ আসনে মোট ভোটার ৩,৪৬,৬৪৬ এবং ভোট কেন্দ্র-১২২টি। এর মধ্যে ৩ প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে মোট ভোট পড়েছে ৮৮ শতাংশ। জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৫,২০৮ ভোট। কিন্তু জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল) কাজী আশরাফ সিদ্দিকী ১,৩০৫ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আব্দুল লতিফ মিয়া (হাত পাখা) ১,২৬০, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী শফি সরকার (আম) ২৭৭ ভোট।


বিবার্তা/তোফাজ্জল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com