শিরোনাম
পটুয়াখালীর সংঘর্ষে দু'দলের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৪১
পটুয়াখালীর সংঘর্ষে দু'দলের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পরস্পরকে দায়ী করেছে দু'দল। বুধবার পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় নেতারা হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।


মঙ্গলবার বিকালে রাঙ্গাবালীতে নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় দলের দেড় শতাধিক কর্মী আহত হন। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই ঘটনায় ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।


বুধবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ধানের শীষের প্রার্থী ও দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, মহাজোট প্রার্থী নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের হুমকিও দিচ্ছেন।


লিখিত বক্তব্যে এবিএম মোশারফ হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে রাঙ্গাবালী উপজেলার খালগোড়া বাজারে পথসভা করার আগেই যুবলীগ নেতা রিয়াজ মৃধা, রেসাদ ও চেয়ারম্যান মামুন খানের নেতৃত্বে হামলা করে দলীয় অন্তত ১৫০ নেতাকর্মীকে আহত ও জখম করে। এসময় চর মোন্তাজ ইউনিয়নের বশির ফকিরের পা কেটে দেয়া হয়। এছাড়া কাওসার আহম্মেদ, সাহজুল মীর, আলাউদ্দিন প্যাদা, সাইদুল গাজী, মন্নান মীর, খোকন, মোকলেছ মীর, রেশাদ, রিয়াদ আকন, রাব্বি, জাকির মোমিন হাওলাদার, মোকলেছুর হাওলাদার, মোশারফ লাহেরী, বেলাল খলিফা ও রহিম খলিফা রক্তাক্ত জখম হয়। এরা বরিশাল, কলাপাড়া ও গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


তার অভিযোগ করেন, ধুলাসারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইউনুচ দালাল, শাকিল, এমদাদ মৃধা, হাবিবের নেতৃত্বে মঙ্গলবার চাপলী বাজারের বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল লুট করে নেয়া হয়। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। একইদিন কুয়াকাটায় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মজিবর, মিলন পাহলান, খালেক খান ও মহিবুল্লাহ চৌকিদারের নেতৃত্বে প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। মহিপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেয়া হয়। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।


এদিকে দুপুরে কলাপাড়া প্রেসক্লাবে আরেক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল আহসান সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।


লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাঙ্গাবালীতে আওয়ামী লীগের নির্ধারিত পথসভা চলছিল। তার পাশে ধানের শীষ প্রতীকের পথসভার আয়োজন করে বিএনপি। এ সময় বিএনপি প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন পথসভায় উপস্থিত হওয়ার সাথে সাথে জামায়াত ও বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী কবির তালুকদার, রহমান মাষ্টার, সাবু মিয়া, সোহাগ আকন, জাকির, নিয়াজ, বিপু, ইব্রাহীম, রহমান ফরাজী, মোতালেব হাওলাদার, মামুন হাওলাদার ও রাকিব হাওলাদারের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায় আ’লীগ কর্মী সমর্থকদের ওপর। হামলায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লিটু, হাবিবুল বসার তোতা, শাহারুল হাওলাদার, কালাম হাওলাদার, রাহাত, ইউপি সদস্য শিমুল, সাদ্দাম, সোহেল মীর, মহাসীন, বিপ্লব, আতিকুর, কামাল, সোহেল মিয়াসহ অর্ধশত আহত হয়। এরা বর্তমানে কলাপাড়া, গলাচিপা ও বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।


তার দাবি, ধুলাসার, মহীপুর ও কুয়াকাটায় যে ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে এবং যাদের নাম বলা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়। এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সাথে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়।


আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার, পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, অধ্যক্ষ সৈয়দ নাসির উদ্দীন, অ্যাডভোকেট বিমল সমাদ্দার প্রমুখ।


রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র জানান, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রাঙ্গাবালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক আইনে ৪৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ২০ জনকে আটক করেছে। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো মামলা দায়ের হয়নি।


বিবার্তা/উত্তম/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com