শিরোনাম
নাটোর-৪ এ সপ্তমবারের মতো মনোনয়ন পেলেন আব্দুল কুদ্দুস
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৫১
নাটোর-৪ এ সপ্তমবারের মতো মনোনয়ন পেলেন আব্দুল কুদ্দুস
নাটোর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

৬১, নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে টানা সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। তিনি এই আস থেকে সর্বমোট পাঁচবার নির্বাচিত হয়েছেন।


রবিবার সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন চিঠি সংগ্রঞ করেন আব্দুল কুদ্দুস।


মনোনয়নের চিঠি হাতে পেয়ে আব্দুল কুদ্দুস প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।


তিনি ৩১ অক্টোবর ১৯৪৬ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের চলনবিলের বিলসা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা হায়েতুল্লাহ সরদার পেশায় ছিলেন কৃষক। ৭/৮ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। তিনি রাজশাহী কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন এবং ইংরেজিতে এমএ পাশ করেছেন ।


ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের। রাজশাহী কলেজ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফার ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। ১৯৬৮-৭২ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেছেন।



১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের সময় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে সেই সময় রাজশাহীর ছাত্ররা রাজপথ প্রকম্পিত রাখত। সেই আন্দোলনের মুখে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার করে শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় শাসকচক্র। অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস রাজশাহী অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন ।


১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। তিনি কমান্ডার হিসেবে পাক হায়েনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধে তার বড় ছেলে শহীদ কল্লোল পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন।


দেশ স্বাধীন হবার পর তিনি (১৯৭২-৭৪) রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী রাজশাহী জেলায় যে ব্যক্তিকে প্রথম গ্রেফতার করেন তিনি আব্দুল কুদ্দুস। খুনিচক্র তাকে কারাগারে নিক্ষিপ্ত করে। দীর্ঘ ৫ বছর কারাভোগ করেছেন, তবু ঘাতকদের কাছে মাথানত করেন নাই। কারাগারে থাকা অবস্থায় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন।


১৯৮২-৮৬ পর্যন্ত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজশাহী মহানগর গঠিত হলে ১৯৮৬-১৯৯০ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সামরিক শাসকের অবসানের পর ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি প্রথমবার সংসদ সদস্য হন। তিনি মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।


তিনি মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য হন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com