শিরোনাম
সাতক্ষীরার মাঠজুড়ে সোনালী রঙের আলপনা
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০১৮, ১৬:০৪
সাতক্ষীরার মাঠজুড়ে সোনালী রঙের আলপনা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সাতক্ষীরার বিলগুলো এখন সোনালী ধানে ঠাসা। সবুজ পাতার মাঝে সোনালী ধানের শীষ। এ যেন চিরসবুজের বুকে সোনালী রঙের আলপনা। দিগন্ত জুড়ে এমন অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ কৃষক-কৃষাণীরা। ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ধান কাটা। কৃষক ব্যস্ত মাঠের ধান ঘরে তুলতে। কৃষাণীও উঠোন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নতুন ধানের ঘ্রাণের অপেক্ষায়। নবান্নের আয়োজন দিকে দিকে। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে আছে আদিগন্ত মাঠ।


মৌসুমের শুরুতে রোপা আমনে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সেচ দিতে যেয়ে উৎপাদন খরচ অন্যবারের তুলনায় এবার বেশি হয়েছে। তবে পোকামাকড় ও রোগ বালাই কম থাকায় কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।


সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় মোট ৮৭ হাজার ৯০ হেক্টরে রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার থেকে প্রায় তিন হাজার হেক্টর বেশি। এ বছর জেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪ হাজার ৯৫৭ হেক্টর। এর মধ্যে সদর উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১৯ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে। এছাড়া কলারোয়ায় ১১ হাজার ৬০০, তালায় ৮ হাজার ৩৯০, দেবহাটায় ৫ হাজার ২৮০, কালীগঞ্জে ১৭ হাজার ৩০, আশাশুনিতে ৯ হাজার ২৪০ ও শ্যামনগরে ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টরে আবাদ হয়েছে।


সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামের কৃষক আবু সাইদ জানান, চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা পরিমাণ জমিতে আমন আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টি না হওয়ায় বীজতলা থেকে চারা রোপণ পর্যন্ত সেচযন্ত্রের ওপর নির্ভর করতে হয়েছিল। এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।


এ গ্রামের আরো বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, তারা প্রত্যেকেই দীর্ঘদিন ধরে রোপা আমন আবাদ করেছিলেন। চলতি মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টির আশায় অনেক দেরিতে চারা রোপণ করেছিলেন। এক্ষেত্রে তাদের নির্ভর করতে হয়েছে সেচের ওপর। এতে তাদের ফলন আশানুরূপ হয়নি বলে জানান।



কৃষকরা বলছেন, এর মধ্যে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটে তাহলে এবার আমন আবাদে তারা বেশ লাভবান হবেন। তবে ধানের দাম নিয়ে তাদের শঙ্কাও রয়েছে।


সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ কাজী আব্দুল মান্নান বলেন, অনেকদিন ধরে সাতক্ষীরায় মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়নি। এতে কৃষকরা রোপা আমন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছিলেন। পানির অভাবে ক্ষেত শুকিয়ে যায়। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তাদের সেচযন্ত্র চালু করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এতে প্রায় চার হাজারেরও বেশি যন্ত্র চালু করা হয়।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান আরো বলেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে আমরা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আসছি। তাই আশা করি বিগত মৌসুমের মতো এবারো আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অনেকটা লাভবান হবেন।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু জমির ধানকাটা শুরু হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না করলে কৃষকরা সুষ্ঠুভাবে সোনার ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।


বিবার্তা/শহীদুল/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com