কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাদশ শ্রেণীর এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন সৌদি প্রবাসী যুবক হোসেন আলী (২৫)।

উপজেলার আদাবাড়িয়া ডিজিটি স্কুলের পাশের এক বাড়িতে শনিবার ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা বর্তমানে কুষ্টিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের বিলগাথুয়া গ্রামের খলিল মালিথার ছেলে হোসেন আলী দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়ি আসেন। সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় হোসেন আলীর সাথে আদাবাড়িয়া গ্রামের ওই ছাত্রীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে হোসেন আলী ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং তাকে আদাবাড়িয়া ডিজিটি স্কুলের পাশের এক অত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে।

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক দফা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন হোসেন আলী। পরে সন্ধ্যায় উপজেলার ডাংমড়কা ইটভাটার কাছে ধর্ষিতা কলেজছাত্রীকে ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা হোসেন আলীকে আটক করে সেন্টু জুলার বাড়িতে নিয়ে যায়। তবে সেখান থেকে সে কৌশলে পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ শনিবার রাতে ধর্ষিতা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে পাঠায়।

কলেজছাত্রী ধর্ষণের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষিতা কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিবার্তা/শরীফুল/কাফী