রংপুরে বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও আওয়ামী লীগ নেতা রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম মারা গেছেন।
শনিবার ভোরে সাড়ে ৫টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কারাগারের জেলার আমজাদ হোসেন।
তিনি জানান, কামরুল ইসলাম বেশ কিছুদিন থেকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। এরমধ্যে সাক্ষগ্রহণ চলাকালে তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এক সপ্তাহ ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তিনি।
আমজাদ হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে অসুস্থতা বাড়লে ভোর ৫টার দিকে তাকে কারাগার থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানে সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান কামরুল। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, নগরীর তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন কামরুল। একই স্কুলে শিক্ষকতা করতেন নিহত বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা। দীপা ও কামরুল দু’জনেই বাবু সোনা হত্যা মামলার আসামি এবং আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন তারা।
গত ২৯ মার্চ রাতে বাবু সোনাকে ১০টি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সর্বশেষ ৬ ও ৭ নভেম্বর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ওইসময় আদালতে হাজির করা হয় কামরুল ও দীপাকে। স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে।
বিবার্তা/শান্ত/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]