শিরোনাম
কলাপাড়ায় পাচিং পদ্ধতিতে ধানচাষে সাফল্য
প্রকাশ : ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ১৯:২৬
কলাপাড়ায় পাচিং পদ্ধতিতে ধানচাষে সাফল্য
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকাদমনে পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে উপকূলের কৃষকরা সুফল পেয়েছেন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে ধান চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায়।


এ পদ্ধতি প্রয়োগে ধানের ক্ষেতে বালাইনাশকের প্রয়োজন হয় না। একর প্রতি ক্ষেতে ১০ থেকে ১২টি বাঁশের কঁঞ্চি কিংবা গাছের ডাল পুতে দিতে হয়। এ পাচিংয়ের (খুটি) উপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে। এতে জমিতে কীটনাশকের খরচ কম ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায়।


কৃষকরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তবে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাম্পার ফলন পাওয়ার উজ্জল সম্ভাবনা রয়েছে।


কৃষকরা জানান, পোকা দমনে এক সময় জমিতে ব্যপক হারে কীটনাশক ব্যবহার করতো। এখন এর প্রবণতা কমে গেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকরা ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কৃষিবান্ধব এই পদ্ধতি ব্যাবহার করা হচ্ছে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার গ্রাম গঞ্জের কৃষকদের ক্ষেত সবুজের সমারোহ। বাতাসে সবুজ শিষ দুলছে। ক্ষেতের মধ্যে বাঁশের কঁঞ্চি ও গাছের ডাল পোতা রয়েছে। ওই পাচিং (খুঁটিতে) ফিঙ্গে, শালিক, দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসে আছে। সুযোগ বুঝে ধানক্ষেতে থাকা ক্ষতিকর পোকা ওইসব পাখি খেয়ে ফেলছে।


স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, ক্ষেতের ক্ষতিকর ঘাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এ সকল পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষায় এ পাচিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে অনেকটা কীটনাশকের ব্যবহার কমে গেছে। উপজেলার সকল কৃষকের মাঝে এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সাধারণত এ আঞ্চলে কৃষকরা দুই ধরনের পাচিং ব্যবহার করে থাকে। যেমন লাইভ পাচিং ও ডেথ পাচিং।



কৃষক করিম গাজী জানান, এ বছর আমি ক্ষেতে পাচিং পদ্ধতির প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। এতে খরচ নেই।


অপর এক কৃষক জানান, বাড়ির গাছ থেকে ডাল কেটে ক্ষেতে পুতে দিয়েছি। ওই ডালে বসা পাখিরাই ক্ষেতের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলছে। এতে যেমন আর্থিক উপকার হচ্ছে, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাচ্ছে।



উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মন্নান বলেন, পাচিং পদ্ধতি কৃষকের কৃষি ও পরিবেশ বান্ধব একটি পদ্ধতি। কৃষকদের মাঝে এ পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সকল কৃষকদের পাচিং পদ্ধতির আওতায় আনার জন্য কাজ করছি। কোনো খরচ ছাড়াই এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারবে কৃষকরা। বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ৯০ ভাগ কৃষক এ পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছে।


বিবার্তা/উত্তম/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com