কুড়িগ্রামের চিলমারীর আকন্দপাড়ার স্কেন্দার মিয়া টার্কি মুরগী পালন শুরু করে কয়েকদিনেই সফলতা অর্জন করেছে। ২০ দিন আগে তিনি টার্কি মুরগি পালনের পরামর্শ এবং সহযোগিতাকারী প্রতিষ্ঠান রংপুরের অক্টালিংকের ইসমাইল হোসেন শাওনের নিকট থেকে ৩৫টি বাচ্চা নেন। এর পর নিজ বাড়িতে একটি ঘরে শুরু করেন পালন।
প্রতিদিন বাড়ির পাশের ঘাস, চাউলের গুড়া, সামান্য ফিড দিয়ে টার্কির খাবারের যোগান দিচ্ছেন স্কেন্দার। এ এলাকায় টার্কি পালনে তিনি প্রথম হলেও এ ব্যবসায় সফলতা দেখে অবাক স্কেন্দর। বর্তমানে প্রতিটি বাচ্চা বৃদ্ধি ও ওজন দেখে তিনি অনেক খুশি।
বর্তমানে তার পালনকৃত টার্কি বাচ্চার বয়স ৩৪ দিন ও তাদের ওজন প্রায় ৩০০-৩৫০ গ্রাম। মাত্র ১৮দিন আগে আনা ১৫দিন বয়সের বাচ্চার প্রতিটির মূল্য ২শ টাকা হলেও বর্তমানে প্রতিটির মূল্য ৩শ থেকে ৪শ টাকা দরে কিনতে চাচ্ছে অনেকেই।
স্কেন্দার জানান, কিছুদিনের মধ্যে তা বেড়ে চারগুণ হলে অনেক বেশি মুনাফা পাবেন।
১৭০০ সালে যুক্ত রাজ্যের ক্রস ব্রিডিংয়ের মাধ্যমে টার্কি জাতের মুরগির উৎপাদন করা হয়। এর জনপ্রিয়তা অন্যতম কারণ হচ্ছে অন্যান্য মুরগির মাংসের তুলনায় টার্কির মাংস সু-স্বাদু এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। গরু এবং খাসির মাংসের তুলনায় চর্বির পরিমাণ অনেক কম। তাছাড়া এ জাতের মুরগি পালনে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। দেশী জাতের মুরগীর মতোই খোলামেলাভাবে পালন করা সম্ভব। এর ডিমের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
রংপুরের অক্টালিংক’র শাওন জানায়, অন্যান্য মুরগির খামারের তুলনায় টার্কি পালনে খাবারে ৫০%, বিদ্যুৎ ৯০% খরচ কম। একটি টার্কি খামারে স্বল্প বিনিয়োগ, কম ঝুঁকিতে দ্রুত সময়ে ভাল মুনাফা অর্জন করা যায়। টার্কি মুরগি পালনে দেশের বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে মাংসের চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
বিবার্তা/সৌরভ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]