শিরোনাম
মোরেলগঞ্জে মাল্টা চাষে ব্যাপক সাফল্য
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৭:৪০
মোরেলগঞ্জে মাল্টা চাষে ব্যাপক সাফল্য
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বানিজ্যিকভিত্তিতে মাল্টা চাষে সফলতা পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হেমায়েত শিকদার। বছরে তিনি ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেন। একই সঙ্গে একই বাগানে অন্য ফলের চাষও করতে পারেন তিনি।


উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নে আমবাড়িয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অরেন্ট অফিসার হেমায়েত শিকদার। ২০০৬ সালে চকরি থেকে অবসর গ্রহণ করার পর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বানিজ্যিকভিত্তিতে ফলের বাগান করতে উদ্যোগী হয়ে হন। প্রথমে তিনি বাউকুল চাষে ব্যাপক সফলতা পান। প্রতি বছর তিনি বাউকুল বিক্রি করে ৩/৪ লাখ টাকা আয় করেন।


২০১৫ সালে তিনি ওই বাগানে মাল্টা চাষ শুরু করেন। গত বছর থেকে তিনি মাল্টার ফল পাওয়া শুরু করেছেন।


হেমায়েত শিকদারের দাবি, তিনিই এ উপজেলায় প্রথম মাল্টা চাষ শুরু করেন। ২০১৫ সালে তিনি ১ একর জমির ওপর গড়ে তুলেন তার মাল্টা বাগান। তিনি তার এ ফলদ বাগানে বারী-১ জাতের ২০০টি মাল্টা গাছ রোপন করেন। একই বাগানে তিনি সাথী ফল হিসেবে লিচু, আমলকী, কমলা, থাই সরুপা, জাম্বুরা, কাগজী লেবু, কলা, পেপেসহ বিভিন্ন ফলের চাষ করেন।


মাল্টা চাষের ১ বছরের ব্যবধানে তার মাল্টা গাছে ফল ধরা শুরু করে। তার বাগানের প্রতিটি মাল্টা গাছে এখন ৬০/৭০ টি করে মাল্টা ঝুলছে। এ মাল্টা খেতেও বেশ মিষ্টি। বছরের ৮ মাস গাছে মাল্টা থাকবে এবং এই ৮ মাসে প্রতিটি গাছ থেকে ১৩ থেকে ১৫ কেজি মাল্টা পাওয়া যাবে। মাল্টা পাকার সাথে সাথে দুর-দুরান্ত থেকে ফল ব্যবসায়ীরা এসে বাগান থেকেই মাল্টা কিনে নিয়ে যায়।


মাল্টা চাষী হেমায়েত শিকদার জানান, গত বছরে তিনি তার মাল্টা বাগান থেকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মাল্টা বিক্রি করেছেন। এছাড়াও তিনি তার এ বাগান থেকে অন্য ফল বিক্রি করে বছরে ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা আয় করেন।


তিনি জানান, অবসর জীবনে তার এ বাগানের আয় তার পরিবারের স্বভাবিক খরচ মেটানোর পাশাপাশি সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহনেও বেশ সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। তার সন্তানেরা সবাই আজ উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। বড় মেয়ে ডা. রুমানা আফরোজ এমবিবিএস করার পর এফসিপিএস সম্পন্ন করেছে, ছেলে রিশাদ হাসান ম্যারিন ইঞ্জিনিয়র হিসেবে ভিয়েতনামে কর্মরত, ছোট ছেলে সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়র হওয়ার পথে।



বলইবুনিয়া ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হেমায়েত শিকদারকে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে মাল্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি উন্নত জাতের মাল্টা চারা সংগ্রহ করে দেয়া। নিয়মিত তার বাগানের যথাযথভাবে তদারকিও করছেন তিনি।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অনুপম রায় বলেছেন, হেমায়েত শিকদারের এ মাল্টা চাষের সফলতায় এলাকার বেকার যুবকরা মাল্টা চাষে উৎসাহিত হচ্ছে এবং অনেকেই আগ্রহী হয়ে ইতোমধ্যে মাল্টা চাষ শুরু করেছে। এমনকি ওই ইউনিনের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান আলী উৎসাহিত হয়ে নিজেও মাল্টা বাগান করেছেন।


বিবার্তা/রাজু/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com