শিরোনাম
নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু ৩০ অক্টোবর থেকে : সিইসি
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৮
নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু ৩০ অক্টোবর থেকে : সিইসি
খুলনা ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের কাউন্ট ডাউন শুরু হবে। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) অনুমোদন করলে নভেম্বরে নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হতে পারে।


তিনি বলেন, ভোটের মর্যাদা, ভোট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, ভোট প্রদানের স্থায়ী সমাধান এবং ভোটারের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে।


খুলনায় শনিবার ইভিএম প্রদর্শনী মেলার উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন। মহানগরীর পাবলিক হল (জিয়া হল) চত্বরে এ মেলার উদ্বোধন করেন সিইসি।


সিইসি বলেন, আইনি জটিলতা না থাকলে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম চালু হতে পারে। আর এ জন্যই আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা সংসদে উঠবে। সংসদে পাস হলেই ইভিএম চালু হবে। তার আগে ইভিএম নিয়ে জনসচেনতা সৃষ্টির কাজ চলছে। ইভিএম চালু হলেই শুধু হবে না। জনসচেতনতাও প্রয়োজন রয়েছে।


তিনি বলেন, নির্বাচন পদ্ধতিতে আমাদের দেশে কী না হয়। সে অবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে এই ইভিএম। যা সবার সহযোগিতায় চালু হবে। বিভিন্ন দেশে এটা সফলভাবে চালু আছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জনতাকে বোঝানোর পরই এ ইভিএম চালু হবে। দুষ্ট লোক এ সিস্টেমে ঢুকে ক্ষতি করতে চেষ্টা করবে। প্রশাসনের কাজ হবে সেটা প্রতিহত করা। সেভাবে জনবল গড়ে তোলা হবে।


তিনি বলেন, ইভিএম গ্রহণযোগ্য অবস্থায় নিতে প্রচার চালানো হচ্ছে। ইভিএম ক্ষতিকর কোনো পদ্ধতি নয়। বরং সময় ও অর্থ সাশ্রয়ী। এছাড়া ভোটারদের সচেতনতাও জরুরি।


তিনি আরো বলেন, রাজনীতিবিদ যারা ইভিএম নিয়ে বিরোধিতা করে মন্তব্য করছেন তাদের আগে এ প্রযুক্তি ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে হবে। আপনারা এখানে আসেন, পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন। তারপর আপনাদের মতামত দেন।


প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ ও গণনা সহজ হয়। ব্যালটের নির্বাচনে অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। আর ইভিএম পদ্ধতিতে প্রযুক্তি সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। সেটা দায়িত্ব পালনকারীদের জন্য। আর সাধারণ জনতাকে এ পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার। আমরা এখন এ কাজটিই করছি। জনসচেতনতা সৃষ্টি আর আইনি জটিলতার অবসান করেই ইভিএম পদ্ধতি চালু করা সম্ভব হবে।


এভিএম জোর করে চাপিয়ে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো ইভিএমের আইনগত ভিত্তি হয়নি। ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সংশোধন হলেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম প্রয়োগ করা হবে।


নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে নুরুল হুদা বলেন, বিগত দিনের জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় আসন্ন নির্বাচনে সেনাবাহিনী থাকতে পারে। তবে তা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে। নির্বাচন কমিশন অনুমোদন করলে এবং প্রয়োজন হলে নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।


তিনি আরো বলেন, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ বা অন্য কোনো বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আর আলোচনার সুযোগ নেই।


খুলনা ছাড়াও রাজশাহী, রংপুর, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা অঞ্চলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ডেমো ভোটগ্রহণ প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে মেলায়। তবে শুধু নির্দিষ্ট এলাকার ভোটাররা ভোট দিতে পারছেন।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহম্মদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীর, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ।


স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী। ইভিএম সম্পর্কিত বিশেষ উপস্থাপনা করেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র মেনটেইনেন্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com