শিরোনাম
যমুনার শাখা নদীতে রাবারড্যাম নির্মাণের দাবি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৬
যমুনার শাখা নদীতে রাবারড্যাম নির্মাণের দাবি
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা শহর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খরস্রোতা শাখা যমুনা নদী। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে এটি। বছরের অধিকাংশ সময় নদীতে পানি পাওয়া যায় না। নদীর দুই ধারের পাড় ক্রমেই দখল হয়ে যাচ্ছে। একই সাথে নদীর বুক চিরে চাষ হচ্ছে রবি শষ্য।


নদীতে পানি না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন নদী পারের কয়েক হাজার জেলে পরিবার। তারা এখন বাবা-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য কাজ বেছে নিয়েছেন। এতে এ অঞ্চলে দেশি মাছের অভাব দেখা দিয়েছে। অপরদিকে কৃষি কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ভূগর্ভের পানি। এতে পরিবেশ বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


এলাকাবাসীর দাবি, নদীতে রাবারড্যাম নির্মাণ করে বর্ষাকালের পানি ধরে রেখে কৃষি কাজে ব্যবহার করার উপযোগী করা।


নদীটি রংপুর জেলার তিস্তা নদী থেকে প্রবাহিত হয়ে রংপুর জেলার কয়েকটি থানা হয়ে দিনাজপুর জেলার খানসামা, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর হয়ে ফুলবাড়ী উপজেলার পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়ন অতিক্রম করেছে। এরপর পার্শ্ববর্তী বিরামপুর, হাকিমপুর উপজেলা হয়ে ভারতের পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ দিনাজপুরের কিছু দূর প্রবাহিত হয়েছে। পরে আবারও বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার পাচবিবি, জয়পুরহাট সদর, বদলগাছী হয়ে নওগাঁ জেলার ধামুরাই, পত্নীতলা, সাপাহার হয়ে যমুনা নদীতে সংযুক্ত হয়েছে।


এক সময় এই নদীর উপর নির্ভরশীল ছিল নদী পাড়ের কয়েক হাজার জেলে পরিবার। এই নদীর পানি সেচ দিয়ে চলত নদী পাড়ের এলাকার আশপাশের জমির চাষাবাদ। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে নদীটি খনন না করায় পলি ধোয়া নেমে নদীটি ভরাট হয়ে গেছে। বর্ষাকালে নদীতে পানি দেখা গেলেও বর্ষাকাল শেষ হওয়া সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যায় নদীর পানি। ফলে নদী এলাকার কৃষিকাজ এখন সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এতে দিন দিন ভূ-গর্ভের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।



ভূ-গর্ভের পানি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। পরিবেশ রক্ষার্থে নদীটি সংস্কার করে রাবার ড্যাম নির্মাণ করে বর্ষাকালের পানি নদীতে ধরে রেখে কৃষি কাজে ব্যবহার করার দাবি জানিয়েছেন তারাও।



এলাকাবাসী বলেন, নদীটি খনন করে রাবারড্যাম নির্মাণ করে বর্ষাকালের পানি ধরে রাখা হলে শুধু কৃষি কাজেই উপকার হবে না, এখানে দেশি মাছেরও অভাব মিটবে। এজন্য নদীটি খনন করে রাবারড্যাম নির্মাণ করতে হবে।


বিবার্তা/মেহেদী/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com