শিরোনাম
রাজারহাটে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন
প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০১৮, ২১:১৪
রাজারহাটে মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন
রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বাড়ছে মিষ্টি কুমড়ার চাষ। সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ায় প্রতিবছর এ সবজির চাষ বাড়ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। এবার ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামে খুশি কৃষকরা।


উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, এ বছর ৩৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজারহাট উপজেলা ছিনাই ইউনিয়নে ৭৫ হেক্টর, বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ৬০ হেক্টর, ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নে ৭৫ হেক্টরসহ অন্য ইউনিয়নে কম-বেশি মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়। গত বছর ২৬০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ হয়েছিল।


মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদের জন্য সময়, শ্রম ও খরচ কম হওয়ার ফলে প্রতিবছরই আবাদ বাড়ছে।


রাজারহাট উপজেলার আজিজল ইসলাম বলেন, ৬ শতক জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদ করি। হাল চাষ, সার, ওষুধ ও মাচাসহ আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। এর মধ্যে কিছু খেয়েছি আর ৮ হাজার টাকার মিষ্টি কুমড়া বিক্রিও করেছি।


ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউপির করুনা বাবু বলেন মিষ্টি কুমড়া আবাদে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ১৬-১৮ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘায় প্রায় ১০০-১২০ মণের মতো উৎপাদন হয়। পাইকারি দরে ৮-১০ টাকা কেজিতে প্রতিটি কুমড়া বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। দাম আরেকটু বেশি হলে আগামীতে এর চাষাবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।


ছিনাই ইউনিয়নের আশরাফুল ইসলামের অভিযোগ, আমরা কোনো ফসলেরই ন্যায্য দাম পাই না। আমরা যে মিষ্টি কুমড়া ৮-১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি ব্যবসায়ীরা বিক্রি করেন ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে। কৃষকের চাইতে ব্যবসায়ীরা বেশি লাভবান হয়। সবজিতে সরকার নজরদারি বাড়ালে আমরা কৃষকরা ন্যায্য দাম পেতাম এবং কিছুটা লাভবান হতে পারতাম।


রাজারহাট উপজেলার সদর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী বাচ্চু বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া আঁড়তে নিয়ে আসে। এ এলাকার উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়া সুস্বাদু হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদাও বেশি। এই বাজার থেকে প্রতি সপ্তাহে ২০-২৫ মেট্রিক টন মিষ্টি কুমড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।


কৃষি অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, লাউ এর চেয়ে মিষ্টি কুমড়ার দাম বেশী তাই গত কয়েক বছর থেকে চাষীরা মাচা করে আবাদ করছেন। মিষ্টি কুমড়ার আবাদে সঠিক সময়ে পরাগায়ন হলে উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। মৌসুমভিত্তিক ফসল চাষের জন্য কৃষি অফিস থেকে মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাঝে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।


বিবার্তা/লিমন/সোহান

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com