শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমন আবাদ
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৩৯
লক্ষ্মীপুরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে আমন আবাদ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে রোপা আমন ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। এবার জেলার পাঁচ উপজেলায় ৭৭ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ হাজার ২৯৩ হেক্টর বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ধান উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।


জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শুরু হতেই কৃষকরা আমন ধান আবাদের প্রস্তুতি নেন। জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে বীজ তলায় বীজ বোনা হয়েছে। শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে মূল জমিতে রোপণ করা হয়েছে ধানের চারা, এখন চলছে পরিচর্যা। অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে ধান কেটে ঘরে উঠাবেন কৃষকরা।


উপকূলীয় এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া কৃষিক্ষেত্রে বেশ উপযোগী। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এখানে প্রচুর ধান উৎপাদন হয়ে থাকে। যার কারণে গত কয়েক বছর এখানকার কৃষকরা স্থানীয় জাতের পাশাপাশি হাইব্রিড ও উফশী জাতের ধান আবাদ করছেন।


কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত কয়েক বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে আউশের ভালো ফলন হয়েছে। জেলায় ২৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। এতে হেক্টর প্রতি উফশী জাতের ৪ থেকে ৫ টন, স্থানীয় জাতের ২ থেকে ২.৩৫ টন ধান উৎপাদন হয়েছে বলে জানান তারা।


জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ উৎপাদন মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে ৭২ হাজার ৫৯৭ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে।


এরমধ্যে সদর উপজেলায় উফশী জাতের ১৯ হাজার ২৩০, স্থানীয় জাতের ২ হাজার ১০০, হাইব্রিড ৫০ হেক্টর, রায়পুরে হাইব্রিড ১ হাজার, উফশী ৯ হাজার, স্থানীয় ১৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এছাড়া রামগঞ্জে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের আবাদ করে কৃষকরা। রামগতিতে ২২ হাজার হেক্টরে উফশী ও ১ হাজার ৫০০ হেক্টরে স্থানীয় এবং কমলনগরে ১৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে উফশী ও ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে।



এছাড়াও চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪২ মেট্রিক টন। প্রত্যাশিত পরিমাণে চাল উৎপাদন হলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য এলাকায় সরবরাহ করা যাবে। গত ২০১৭-১৮ মৌসুমে জেলায় ৭৩ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছিলো। এ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার ৪৭১ মেট্রিক টন চাল পাওয়া গেছে।


রামগতি উপজেলার চরসিতা গ্রামের কৃষক রাসেদ ও হাসমত উল্যাহ জানান, যথা সময়ে তারা জমিতে চারা রোপণ করতে পেরেছেন। প্রতি বছরই তারা আমন ধান চাষ করে থাকেন। এর মধ্যে গত দুই বছর কাঙ্ক্ষিত ফলন হওয়ায় এবারো এ ধান চাষ করেছেন তারা।


লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খান বলেন, এবার আউশ মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। যার কারণে চলতি মৌসুমে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে। এতে কৃষকরাও লাভবান হবে এবং ধান চাষে আরো উদ্বুদ্ধ হবে। প্রত্যাশিত ফলন পেতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ও কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন।


বিবার্তা/ফরহাদ/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com