পারিবারিক কলহের জের ধরে নাটোরে বাবাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে! তারপর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে সে।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় খামার নাচকৈড় মহল্লায়।

গুরুদাসপুর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, স্থানীয় শামসুল আহমেদ পেশায় একজন দর্জি ছিলেন। তার ছেলে রুবেল হোসেন ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে খামার নাচকৈড় মহল্লায় বাস করতেন। বাবাকে বাড়িতে থাকতে দিতে না চাওয়ায় ছেলের সাথে বাবার বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ নিয়ে প্রায়ই বাড়িতে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

শনিবার দুপুরে শামসুল আহমেদ বাজার থেকে ফিরলে ছেলে রুবেলের সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাবাকে কুপিয়ে জখম করে। অবস্থা বেগতিক দেখে দু'জনে আহত অবস্থায় শামসুলকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। নেওয়ার পথে প্রতিবেশীরা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।

শামসুল আহমেদকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করে। কিন্তু তারা তা না করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পথিমধ্যেই মারা যান শামসুল আহমেদ। এ সময় মরদেহ রেখে ছেলে রুবেল ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। প্রাথমিক সুরৎহাল প্রতিবেদনে নিহতের মাথায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

পলাতক ছেলে ও তার স্ত্রীকে আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

বিবার্তা/শুভ/কামরুল