পরিবারের লোকজন ভেবেছিল, মেয়েটির পেটে বড় ধরণের পাথর হয়েছে। অথবা পানি ধরে পেট ফুলে গেছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। ধরা পড়ে, স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা!

প্রথমে প্রলোভন, এরপর ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ইউপি সদস্যের ছেলে। ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই সন্তানের জনকও। ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীর মুখ বন্ধ করে রাখে সে। কিন্তু পাঁচ মাসের মাথায় প্রকাশ্যে আসে ধর্ষণের ঘটনা। জানাজানি হলে বৃহস্পতিবারই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।

ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায়। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সারিয়াকান্দি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) চন্দরবাইশা ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল হামিদের ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সারিয়াকান্দি উপজেলার ১২ বছর বয়সী ভুক্তভোগী মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। প্রায় পাঁচ মাস পূর্বে জনক জাহাঙ্গীর আলম প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করে।

ওই স্কুলছাত্রী ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও ঘটনার পাঁচ মাসের মাথায় ধর্ষিতার পেট ফুলে ওঠে। শিশুটিকে অসুস্থ ভেবে পরিবারের লোকজন বৃহস্পতিবার চিকিৎসার জন্য বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে নেয়া হয়। এ সময় অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ধরা পড়লে মেয়েটি ধর্ষণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়।

বৃহস্পতিবার রাতেই ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে চন্দরবাইশা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সারিয়াকান্দি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় থানার ওসি ওবায়দুর রহমান জানান, অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। দফায় দফায় অভিযান চলছে।

বিবার্তা/নজরুল/কামরুল