শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে প্রকৌশলী মামুনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ!
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:০২
লক্ষ্মীপুরে প্রকৌশলী মামুনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ!
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতিসহ অনিয়মের নানা অভিযোগ উঠেছে। টাকা ছাড়া তিনি কোনো ফাইল স্বাক্ষর করেন না বলে ইতিমধ্যে কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন। এছাড়া তিনি গোপনে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েকজন ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে।


ঠিাকাদাররা অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ফাইল আটকে রেখে ৫ শতাংশ হারে টাকা আদায় করেন মামুন। ৫ শতাংশ কমিশন চুক্তিতে তিনি কাজ পরিদর্শনে যান। চুক্তির টাকা পরিষদ না হওয়া পর্যন্ত ফাইলে স্বাক্ষর করেন না তিনি। এভাবে জেলা পরিষদের একাধিক কাজের ফাইলে স্বাক্ষর না করার বিল স্থগিত রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ঠিাকাদাররা। এসব অনিয়মের কারণে এর আগেও জেলা পরিষদ তাকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বিভিন্ন কৌশলে তিনি আবার যোগদান করে ফের দুর্নীতির আখড়া খুলে বসেছেন।


অভিযোগ রয়েছে, কোনো প্রকার টেন্ডার ছাড়াই জেলার বেশ কয়েকটি যাত্রী চাউনী মেসার্স আজিম বাদ্রার্স ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে পাইয়ে দিয়েছেন মামুন। তার নিয়ন্ত্রণেই এসব প্রকল্পের কাজ চলছে। এছাড়াও তিনি মসজিদ মাদ্রাসার অনুদানের বরাদ্ধকৃত অর্থ থেকেও কমিশন নেন। সম্প্রতি কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট মিয়া ফোরকানীয়া মাদ্রাসার ১ লাখ টাকার কাজে তিনি ১৬ হাজার টাকা কমিশন নিয়েছেন।


জেলা পরিষদের একাধিক ঠিকাদার জানান, প্রকৌশলী মামুন জেলা পরিষদের বিভিন্ন প্রকল্প কোটেশানে দিবে বলে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। দরবিজ্ঞপ্তির পর লটারীর মাধ্যমে টেন্ডারের কাজ পেলেও তাকে কমিশন দিতে হয়। ৫ শতাংশ কমিশন না পেলে তিনি ফাইলে স্বাক্ষর করেন না।


ঠিকাদার এডভোকেট মাহবুবুল হক সুজন বলেন, মামুন টাকা ছাড়া কোন ফাইল স্বাক্ষর করেন না। আমার প্রতিষ্ঠানের যতগুলো ফাইল স্বাক্ষর করেছে সবগুলোতে তাকে টাকা দিতে হয়েছে।


মেসার্স এসবি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন বাপ্পি বলেন, পারিবারিক কাজের কথা বলে মামুন আমার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নিয়েছে। কাজ শেষে দিবে বলে বেশ কয়েকমাস অতিক্রম হলেও টাকা দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে আমার লাইসেন্সে কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে এড়িয়ে যান।


তবে, অভিযুক্ত জেলা পরিষদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো সত্য নয়। একটি চক্র আমাকে পেশাগত কাজে হেয় করার লক্ষ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে।


লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি কোনো ঠিাকাদার আমাকে জানাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


বিবার্তা/সুমন/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com