শিরোনাম
যৌতুক দিয়েও রেহাই পেল না পারুল
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:৪৩
যৌতুক দিয়েও রেহাই পেল না পারুল
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

যশোরের কেশবপুরে স্ত্রী পারুল বেগমের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছিল স্বামী আলামিন খাঁ। বহু কষ্টে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়েছিল পারুলের বাবা। তবুও রক্ষা পেল না পারুল। ৫০ হাজার টাকা কম দেয়ার জন্য স্বামী ও শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন পারুল।


স্থানীয়রা জানান, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ কেশবপুর উপজেলার বাউশলা গ্রামের মোস্তাফা সরদারের কন্যা পারুল খাতুনের সাথে একই উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিল খাঁর পূত্র আলামিন খাঁর বিয়ে হয়। ত?খন এক লাখ এক টাকা দেনমোহর ধার্য হয়। বিয়ের সময় মোস্তফা সরদার তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে নগদ নগদ ৫০ হাজার টাকা, ১টি বাই সাইকেল, টার্চ মোবাইলসহ ২ লাখ টাকার মালামাল দেন।


বিয়ের পর থেকে আলামিন ও তার পিতা-মাতা জমি কেনার কথা বলে গৃহবধূ পারুল বেগম ও তার পিতা-মাতার কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকার জন্য বিভিন্ন সময় পারুলকে মারধরও করে আলামিন। দরিদ্র পিতা মোস্তাফা সরদার গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে মোট সাড়ে চার লাখ টাকা আলামিনকে দেন।


তাদের ঘরে লামিয়া নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বর্তমানে মোস্তাফা সরদারের আর্থিক সমর্থ না থাকায় যৌতুকের বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে অপরাগতা জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আলামিন খাঁ, শ্বশুর আব্দুল জলিল খাঁ, শাশুড়ি লাইলি বেগমসহ পরিবারের লোকজন মিলে মঙ্গলবার সকালে গৃহবধূ পারুল বেগমকে (২১) হাত-পা বেধে হাতুড়ি, লোহার রড ও কাঁচের বোতল দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় বেদম মারধর করে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেতলে যায়। মারাত্মক আহত হয়ে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।


খবর পেয়ে পারুল বেগরের পিতা-মাতা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে পারুল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।


এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলা করেছেন পারুলের পরিবার।


বিবার্তা/সাঈদ/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com