শিরোনাম
তাসপিয়া আত্মহত্যা করেছিল: ডিবির প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:৩৫
তাসপিয়া আত্মহত্যা করেছিল: ডিবির প্রতিবেদন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত তাসপিয়া হত্যা মামলা। স্কুলছাত্রী তাসপিয়াকে হত্যা নয়, সে আত্মহত্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে ডিবি।


পুলিশের তদন্ত, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট এবং সাক্ষীদের তথ্যের ভিত্তিতে একে আত্মহত্যা হিসেবেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন নগর গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারী কর্মকর্তা।


চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ জন প্রত্যেক্ষদর্শী সাক্ষীর ভিত্তিতে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্ত রিপোর্টের উপর নির্ভর করেই আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হচ্ছে।


গত ২ মে (বুধবার) নগরীর পতেঙ্গায় সমুদ্র উপকূলে পাথরের ওপর উপড় হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকাবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আগের দিন মঙ্গলবার রাতে তাকে পতেঙ্গা সৈকতের ১৮ নম্বর ঘাটে দেখে স্থানীয়রা।


তাসফিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রেমিক আদনান মির্জাসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরো পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তাসফিয়ার বাবা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আমিন।


এ ব্যাপারে নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (বন্দর) আসিফ মহিউদ্দীন বলেন, তাসফিয়ার মৃত্যুর কারণ হলো আত্মহত্যা।


ভিসেরা রিপোর্টে তাসফিয়ার শরীরে বিষক্রিয়ার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি, ধর্ষণের ও কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে পানিতে ডুবে মৃত্যু হওয়ার দিকেই ইংগিত। এছাড়াও এ মামলার সব আসামি গ্রেফতার আছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব তথ্য রিপোর্টে বোঝা যাচ্ছে এটি আত্মহত্যা।


ময়নাতদন্তে তাসফিয়ার মৃত্যু পানিতে ডুবে হয়েছে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে । কারণ তাসফিয়ার পেটের মধ্যে প্রচুর পানি পাওয়া গেছে। শ্বাসনালীতে রয়েছে কাঁদাময়লা।


চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ওই দিন সৈকতে ঘুরতে যাওয়া মো. কুদরুত ই ইলাহী, আশিকুর ইসলাম, এম এ খান আন্না, আবু তাহের, নুরুল আবছার, নুর হোসেন, এবং বোট মাঝি লোকমান হোসেন, তৈল ব্যবসায়ী হারুণ, কৃষক মো.হোসেন, চা দোকানদার মো.মুনছরকে সাক্ষী হিসেবে অন্তভুর্ক্ত করেছেন।


এ সাক্ষীর তালিকায় মোট ১৬ জন রয়েছেন। এ মামলায় আদনান মির্জা, আসিফ মিজান গ্রেফতার রয়েছে পুলিশের হাতে। এছাড়া ফিরোজ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করে। শুরুতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।


এছাড়াও এটি একটি আলোচিত ঘটনা হওয়ায় ছায়া তদন্তকারী হিসেবে কাজ করছে র্যাব, সিআইডি ও পিবিআই। সর্বশেষ মামলাটি তদন্ত করার জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক স্বপন সরকার।


সব তদন্ত শেষ করেই রবিবার এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। তবে তাসপিয়া ব্যবহার করা মোবাইল ও সিএনজি চালকের কোনো তথ্য নেই।


বিবার্তা/জাহেদ/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com