শিরোনাম
একটি সেতুতে শেষ হতে পারে ২৫ গ্রামের দুর্ভোগ
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৪৮
একটি সেতুতে শেষ হতে পারে ২৫ গ্রামের দুর্ভোগ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মাত্র একটি সেতুর জন্য বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের প্রায় ২৫টি গ্রামের ২০হাজার মানুষের। শুকনো মৌসুমে শত কষ্ট স্বীকার করে চলাচল করতে পারলেও বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের শেষ থাকে না এসব অঞ্চলের মানুষের। শুধু দুর্ভোগই নয় এসময় অনেক ছাত্র-ছাত্রীর স্কুল-কলেজে যাওয়া আসাও বন্ধ হয়ে যায়।


সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রতনদিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলে পশ্চিম হারুয়া, মাধবপুর, কামিয়া, হরিনবাড়ীয়া, কৃষ্ণনগর ও বাঘলপুরসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে ২০হাজার মানুষ বসবাস করে। এসব চরাঞ্চলের মাঝখান দিয়ে রয়েছে পদ্মানদীর ছোট্ট একটি শাখা। যা নদীর কোল হিসেবে পরিচিত। আর এসব অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই যাতায়াত করে গঙ্গারামপুর হিরু মোল্লার ঘাট দিয়ে।


এই ঘাটে রয়েছে প্রায় ১০০মিটার লম্বা একটি বাঁশের সাঁকো। শুকনা মৌসুমে সবার ভরসাই এই সাঁকো। শুধু মানুষই নয় মোটরসাইকেলসহ রিক্সা ও ভ্যানের ভরসাও এই সাঁকো। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় বর্ষা মৌসুমে। পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়তে থাকে এই কোলের পানিও। ফলে একাংশ তলিয়ে গিয়ে এই সাঁকো দিয়ে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। তখন এ অঞ্চলের মানুষ স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও হাট-বাজারে যাতায়াত করে খেয়ানৌকা দিয়ে।


স্থানীয় মোহন মিয়া নামে এক বৃদ্ধ বলেন, বছরের পর বছর তারা এভাবে পারাপার হয়ে আসছেন। আগে এই সাঁকোও ছিলো না। শুকনো মৌসুমে সেতুর তলদেশ দিয়ে পায়ে হেটে ও বর্ষা মৌসুমে খেয়া নৌকা দিয়ে মানুষ যাতায়াত করতো। তিনি বলেন, এই ঘাট দিয়ে একটি সেতু হলে এসব অঞ্চলের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হতো।


আলামিন হোসেন নামে এক ছাত্র বলেন, সাঁকোর উপর দিয়ে পানি উঠে গিয়ে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে গেছে। তাই আমরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছি না।



ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লতিফ মোল্লা বলেন, চরাঞ্চলের প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষের চলাচল এই সাঁকো দিয়ে। নদীর পানির বৃদ্ধির ফলে এই এলাকার পানিও বৃদ্ধি পায়। এতে তলিয়ে গেছে সাঁকোটির কিছু অংশ। ফলে এই সাঁকো দিয়ে মানুষ এখন আর চলাচল করতে পারছে না। বিকল্প হিসেবে খেয়ানৌকায় পার হচ্ছে মানুষ। কিন্তু মাত্র একটি খেয়ানৌকা থাকায় সেখানেও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।


রতনদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন বলেন, ৪ বছর আগে উপজেলা পরিষদ এই সাঁকোটি নির্মাণ করে দেয়। পরবর্তীতে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ২ লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি সংস্কার করে দিয়েছি। শুকনো মৌসুমে এই সাঁকোর উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারলেও এখন পানি উঠে যাওয়ায় তারা আর চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এসব অঞ্চলের মানুষ। এখান দিয়ে মাত্র একটি সেতু হলেই পাল্টে যেত এসব অঞ্চলের চিত্র। লাঘব হতো মানুষের ভোগান্তি। আমি আশা করছি খুব শিগগিরই এখানে একটি সেতু তৈরি হবে।


বিবার্তা/শিহাব/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com