উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সাথে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে নদী ভাঙ্গন। ২য় ধরলা সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে নদীর স্রোত সোজাসুজি উপজেলার ভূখণ্ডে আঘাত করার কারণে গত ২দিনের ভাঙ্গনে নদী নিকটবর্তী সোনাইকাজী গ্রামের বেড়ীবাঁধ, মসজিদ, আবাদি জমি, সুপারি বাগান, বাঁশঝাড়সহ প্রায় ১৫/২০টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় উজানের ঢলে ধরলা নদীর পানি ৯৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ২য় ধরলা সেতুর এক কিলোমিটার দক্ষিণে সোনাইকাজী এলাকায় ধরলা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়কে বাধা প্রাপ্ত হয়ে নদীর তীব্র স্রোত সোজাসুজি এই এলাকায় আছড়ে পড়ছে। ফলে অব্যাহত ভাঙ্গনে সোনাইকাজী গ্রামের হোসেন আলী, শাহাদৎ হোসেন, নুরুল হক, জেলাল হক, বাচ্চানী বেগম, শাহাদত আলী, শহিদুল ইসলাম, ইসলাঈম মিয়া, কানা কাশেম, লাভলু মিয়া, বুলবুলি বেগম, লাকী বেগম, দুলাল হোসেন, মিজানুর রহমান, আনোয়ার হোসেনসহ ১৫/২০টি পরিবারের বসতভিটা ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর নদী থেকে সামান্য দুরত্বে মারাত্বক ভাঙ্গন হুমকির মুখে রয়েছে রামপ্রসাদ ও প্রানকৃষ্ণ গ্রাম, মরানদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু গুরত্বপূর্ন স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান।
ভাঙ্গন কবলিতদের মধ্যে হাছেন আলী, নুরুল হক ও বাচ্চানী বেগম জানান, আগে থেকেও কিছুটা ভাঙ্গন ছিল। কিন্তু গত ২ দিন থেকে হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করে মুহূর্তের মধ্যে ১৫/২০টি বাড়ি ভেঙ্গে গেছে। ফলে অনেকেই বাড়ি সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, ধরলাসহ কুড়িগ্রামের বেশকয়টি নদ-নদীর পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখনো বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবেন্দ্র নাথ উরাঁও বলেন, ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভাঙ্গন বৃদ্ধির খবর পেয়েছি। পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/নয়ন/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]