শিরোনাম
লক্ষ্মীপুরে বেপরোয়া অটোরিকশা চালকরা
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪১
লক্ষ্মীপুরে বেপরোয়া অটোরিকশা চালকরা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লক্ষ্মীপুরে অটোরিকশা বেপরোয়া চালকরা। নেই তাদের কোনো প্রশিক্ষণ। লাইসেন্স ছাড়াই দাপটের সাথে চালছে সড়কে। তাদের এ দাপটে প্রাণ ঝরছে হাজারো যাত্রীর। প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। মালিক-চালকরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নিজেদের ইচ্ছেমতো চালাচ্ছেন অটোরিকশা।


বিআরটি সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে প্রায় সাড়ে সাত হাজার নিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশা রয়েছে। এরমধ্যে মাত্র ২৬ জন চালকের লাইসেন্স আছে। নতুন করে যারা লাইসেন্স করতে আসেন, তাদের কোনো অক্ষর জ্ঞান নেই। এ জন্য লাইসেন্স দেয়া যায় না। তবে বেসরকারি একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, জেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অন্তত ১৪ হাজার অটোরিকশা চলছে।


শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের দক্ষিণ ষ্টেশনের সিএনজি চালকদের সাথে কথা হলে জানা যায়, দৈনিক মালিককে ভাড়া দিতে হয় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। জেলার কবির বাড়ি এলাকা ও চন্দ্রগঞ্জে দুইটি গ্যাস পাম্প রয়েছে। পুরো রাত লাইনে দাড়িয়ে অটোরিকশায় গ্যাস নিতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে বিপুল কর্মঘন্টা ব্যয় হয়। মালিকের টাকার টেনশনে সব সময় চালকরা সড়কে যাত্রী পরিবহনে দ্রুত করেন। এ টেনশন আর দ্রুত ও অধিক যাত্রী পরিবহন দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।


স্থানীয়রা জানিয়েছে, ব্যস্ততম নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক সড়ক ছাড়াও জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর ও রামগতির অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বেপরোয়া গতিতে দিনরাত বিরামহীন অটোরিকশা চলছে। অধিকাংশ চালকই অদক্ষ। অনেকেরই নেই কোনো অক্ষর জ্ঞান বা প্রশিক্ষণ। এতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অকালে প্রাণহানিসহ পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া চালকদের অনেকেই আগে গ্রামে রিকশা চালাতেন।


কমলনগরের তোরাবগঞ্জ এলাকার অটোরিকশা চালক রেজাউল করিম বলেন, আমরা লাইসেন্স করে ড্রাইভিং করতে আগ্রহী। কিন্তু বিআরটি অফিসে লাইসেন্স করতে গিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। ৩-৪ দিন ঘুরে পরে আর লাইসেন্স করিনি।


জানতে চাইলে জেলা সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি সেলিম রেজা বলেন, রাস্তায় অতিরিক্ত যানবাহন চলার কারণে সিএনজির সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটছে। চালকদের সতর্ক করার জন্য আমরা একাধিকবার সভা করেছি।



জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক মামুনুর রশিদ বলেন, দুর্ঘটনা রোধে চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। টাকা আর দালাল ছাড়া বিআরটিএ অফিসে কাজ হয় না। ঝামেলামুক্ত প্রক্রিয়ায় চালকদেরকে লাইসেন্স করার সুযোগ ও চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা গেলে দুর্ঘটনা কমবে।


লক্ষ্মীপুর সার্কেল বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বেশ কিছু মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে। নতুন করে অনেকেই আবেদন করেছেন। হয়রানি ছাড়াই লাইসেন্সের জন্য করা আবেদনগুলোর কাগজপত্র যাচাই-বছাই করা হচ্ছে।


এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে বলা হয়েছে। এনিয়ে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে।


বিবার্তা/সুমন/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com