বগুড়ার গাবতলীতে জিন তাড়ানোর কথা বলে মোফাজ্জল হোসেন মোক্কা (৫০) নামের এক নৈশ প্রহরীকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত বাদল (৪০) নামের একজনকে হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, গাবতলী উপজেলার চকমড়িয়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মোক্কা গোলাবাড়ী বাজারে নৈশ প্রহরীর চাকরি করতো। নিত্যদিনের মতো গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় নাইট ডিউটি করার জন্য মোফাজ্জল হোসেন মোক্কা গোলাবাড়ী বাজারে যান।

নাইট ডিউটি পালনকালে রাত সাড়ে ১০টায় মহিষাবান ইউনিয়নের ধোরা গ্রামের লোকজন গোলাবাড়ী বাজারে গিয়ে বলে যে, মোফাজ্জল হোসেন মোক্কা তুলা রাশির লোক। এ কথা বলে তারা মোফাজ্জল হোসেন মোক্কাকে দিয়ে জিন তাড়ানোর জন্য ধোরা গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে বাদশার বাড়িতে নিয়ে যায়। বাড়ির আঙিনায় বাদশার মেয়ে জেমি খাতুনকে (১২) শুইয়ে রাখে আর তার পাশেই শুইয়ে রাখে মোফাজ্জল হোসেন মোক্কাকে। এরপর নজরুল ইসলাম ভেটু নামের এক কবিরাজ জেমি খাতুনের শরীরে থাকা জিন নামানোর কাজ করতে থাকেন।

কিছুক্ষণ পর কবিরাজ ভেটু বলেন, জিমির শরীরে থাকা জিন মোফাজ্জল হোসেন মোক্কার শরীরে প্রবেশ করেছে। এরপর কবিরাজের কথামতো স্থানীয় লোকেরা মোফাজ্জল হোসেন মোক্কার হাত পাসহ সমস্ত শরীর চেপে ধরে বুকে কাধে ও গলায় পিটিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে মোক্কা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে বগুড়া ডক্টরস ক্লিনিকে পরে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাবু গত ৬ সেপ্টেম্বরে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৩/৪জনকে অজ্ঞাত জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এলাকাবাসী বাদল (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে পাকড়াও করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

বিবার্তা/নজরুল/কামরুল