শিরোনাম
সিংড়ায় চলনবিলে দর্শনার্থীদের পদচারণা
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:১৩
সিংড়ায় চলনবিলে দর্শনার্থীদের পদচারণা
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের সিংড়া উপজেলার পূর্ব ও দক্ষিণ অংশ জুড়ে চলনবিল। নয়টি উপজেলার ছোট বড় বিলের সমন্বয়ে গঠিত এই চলনবিল। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য উপভোগে হাজার হাজার মানুষ এখন ছুটে আসছেন এই বিলে।


দেশের অন্যান্য বিল থেকে এ বিলের পার্থক্য হলো এটি খরস্রোতা। চলন নাম অনুসারেই এটির নামকরণ করা হয়। পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার অংশজুড়ে এ বিলের বিস্তৃতি। বর্ষা মৌসুমে অসংখ্য খাল দিয়ে এতে পানি প্রবেশ করে।


বর্ষাকালে জলরাশির বুকে নৌকায় পাল তুলে ঘুরতে মন কার না চায়। তাইতো অবসর পেলেই মানুষ ছুটে আসে এখানে। বিশেষ করে শুক্রবার দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে চলনবিল। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসে। নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী এমনকি ঢাকা থেকেও অনেকে আসেন এখানে বেড়াতে।


এক সময় চলনবিল তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলার উপক্রম হলেও পরবর্তীতে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মিত হয় এখানে। যার ৯ কিলোমিটার সাবমার্সিবুল অর্থাৎ নিচু বা ডুবন্ত সড়ক। বর্ষায় এ সড়ক দিয়ে যেমন মাইক্রো, বাইক, অটোসহ ছোট যানবাহন চলাচল করে, তেমনি রাস্তার ওপর দিয়ে নৌকা চলে; যা সত্যিই মনোমুগ্ধকর।


তাছাড়া চলনবিল সিংড়ায় পর্যটকদের চাহিদা মেটাতে গড়ে উঠেছে পর্যটন পার্ক। শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইড রয়েছে। রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ। যেখান থেকে অপরূপ চলনবিলকে উপভোগ করা যায়। অপরদিকে চলনবিলের ইটালি ইউনিয়নে ঘাসি দেওয়ান রহ. এর মাজার রয়েছে। যেখানে প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাউলদের গানের আসর বসে। শুক্রবারে মানত করতে আসেন শত শত ভক্ত। এ সব মিলিয়ে বর্তমানে আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে চলনবিল।



পরিবেশ উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ জানান, চলনবিল এখন প্রতিদিনই পর্যটকদের সমাগম বাড়ছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রচেষ্টার ফসল চলনবিলের ডুবন্ত সড়ক। এ কারণে দর্শনার্থীদের দৃষ্টি এখন চলনবিল সিংড়ায়। প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সিংড়া-বারুহাস-তাড়াশ সড়কের পাশে নৌকা, মাছ ও শাপলার প্রতিকৃতি বাস্তবায়ন করেছে জেলা পরিষদ। যা নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের।


স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা বলেন, এক সময় চলনবিল ছিল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অবহেলিত। বর্ষা মৌসুমে এ বিলের মনোরম পরিবেশ দর্শকদের বেশি আকৃষ্ট করে। এ মৌসুমে চলনবিলের সুবিশাল জলরাশি, উত্তাল তরঙ্গ, পাল তোলা নৌকা দেখতে উৎসুক জনতা ছুটে আসেন।



উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বিপুল কুমার জানান, দেশের ঐতিহ্যবাহী চলনবিলে পর্যটন শিল্প বিকাশে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। চলনবিলের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই। উপজেলার একটি অংশ এ বিলের সৌন্দর্য উপভোগের উপযুক্ত স্থান হিসেবে দর্শনার্থীদের কাছে আগ্রহ বেড়েছে।


বিবার্তা/রাজু/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com