দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের উভয় ঘাট এলাকায় বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পারাপারের জন্য ছয় শতাধিক ট্রাক অপেক্ষামাণ রয়েছে।
যানবাহনের তুলনায় ফেরি কম ও নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় নিত্যদিনের ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে এ নৌরুট।
দৌলতদিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম বলেন, ভোরে ঢাকামুখী বাস ও ছোট গাড়ির বেশ চাপ ছিলো। যে কারণে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখা হয়। পরে সকাল ৭টার দিকে বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমে গেলে ট্রাক পারাপার শুরু হয়।
দীর্ঘ সময় ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকায় অপেক্ষামাণ পণ্যবাহী ট্রাকের লাইন দীর্ঘ হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দৌলতদিয়া-ফেরিঘাট এলাকায় চার শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট শাখা বাণিজ্য বিভাগের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। কিন্তু যানবাহনের চাপ খুব বেশি।
অপরদিকে নদীতেও প্রচণ্ড স্রোত রয়েছে। যে কারণে প্রায়ই ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ লাইন জমে যায়। পাটুরিয়া-ফেরিঘাট এলাকায় ৪০ থেকে ৫০টি বাস ও দুই শতাধিক ট্রাক পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
এদিকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটের লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের ডুবোচরে আটকে থাকা ডাম্প ফেরি যমুনা ও টাপলো উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে ফেরি দু’টি ডুবোচরে আটকে পড়লে উদ্ধারকারী আইটি জাহাজ দিয়ে দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি দু’টি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ফেরিতে যানবাহন ও অসংখ্য যাত্রী ছিল।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানিয়েছে, ভোরে কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাট থেকে দু’টি ডাম্প ফেরি শিমুলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করার পর লৌহজং টার্নিং পয়েন্টের কাছে ডুবোচরে আটকে যায়। পরে ডুবোচরের স্থানে ড্রেজার দিয়ে খনন করে ওআইটি জাহাজ এর মাধ্যমে ফেরি দু’টি ডুবোচর থেকে উদ্ধার করা হয়।
বিবার্তা/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]