জেলা লালপুরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে ১৫ লেগুনাযাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় বাসচালক মো. শামীম হোসেন আত্মসমর্পণ করেছেন। মঙ্গলবার বগুড়া জেলা মোটশ্রমিক সমিতির কার্যালয়ে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। পরে শ্রমিক নেতারা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।

জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামছুদ্দিন শেখ হেলাল বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে শামীম আমার কাছে (কার্যালয়) আত্মসমর্পণ করে। পরে আমি তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, শামীম হোসেনকে নাটোর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

গত রবিবার এ মামলায় বাসচালকের সহকারী আবদুস সামাদ কমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বগুড়া শহরের পলাশবাড়ি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বাসের মালিক মঞ্জু সরকারকে বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়িতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে নাটোরের লালপুরের কদিমচিলান ক্লিক মোড়ের সাদিয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে চ্যালেঞ্জার নামের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসটি পড়ে যায় সড়কের পাশে খাদে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় লেগুনার ১০ যাত্রী। বাসটি পাবনা থেকে নাটোর হয়ে রাজশাহী যাচ্ছিল।

দুর্ঘটনার পরপর আশপাশের লোকজন ছুটে এসে লেগুনার অপর ৪ যাত্রী ও বাসের ৮ যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে যোগ দেন বনপাড়া হাইওয়ে থানা, লালপুর থানা, নাটোর ও লালপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত ব্যক্তিদের বড়াইগ্রামের বনপাড়া শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেগুনার আরো ৪ যাত্রী মারা যান। পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মীরকামারি গ্রামের সালামত আলীর মেয়ে সুমাইয়া (১১ মাস) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মারা যায়।

বিবার্তা/রোকন/কাফী

>>নাটোরে বাসচাপায় লেগুনার ১৫ যাত্রী নিহত