শিরোনাম
এক ডাক্তার দিয়ে চলছে কাঁঠালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৪৫
এক ডাক্তার দিয়ে চলছে কাঁঠালিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স!
ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মাত্র একজন আর একজন কর্মকর্তা দিয়ে চলছে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স! যুগ যুগ ধরে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষ।


১৫ চিকিৎসকের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন একজন চিকিৎসক। ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান ও কর্মচারী সংকটে কারণে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসাপাতালের এখন বেহাল দশা। নাম সর্বস্ব চলছে এর কার্যক্রম।


একমাত্র চিকিৎসক ডা. নিশাত সাহিদাকে সামলাতে হচ্ছে জরুরি বিভাগ ও আবাসিকসহ অন্যান্য বিভাগের রোগীকে।


উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়ায় ৩১ শয্যা বিশিষ্ট এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি স্থাপন করা হয়। ২০১৫ সালে আরো ১৯ শয্যা বাড়িয়ে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু পুরাতন ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ১৯ শয্যা ভবনেই চলছে ৫০ শয্যা হাসাপাতালের সেবার কাজ।


হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দু’টি সাব-সেন্টার ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ৪টিসহ মোট চিকিৎসকের পদ ১৫টি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকতা ও একজন সহকারী সার্জন। কয়েক বছর যাবত শূন্য রয়েছে ১৩ জন চিকিৎসকের পদ। মাঝে মধ্যে একাধিক ডাক্তার এখানে যোগদান করলেও তদবির করে দু’এক মাসের ব্যবধানে অন্যত্র চলে যান।


গত জুলাই মাসের ১৪ তারিখ ডা. সফিকুল হাসান নামের এক সহকারী সার্জন হাসপাতালটিতে যোগ দেন। এক মাসের মাথায় ১৪/০৮/১৮ তারিখে তিনি বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি হয়েছেন। এখানে দীর্ঘ বছর ধরে (অলিখিত প্রথার মতো) এভাবেই চলছে ডাক্তারদের যোগদান ও বদলির পালা।


গাইনী ও ডেন্টাল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দু’টি পদ হাসপাতাল শুরু থেকেই খালি। দু’টি সাবসেন্টার ও ৪টি ইউনিয়নের ৬ জন চিকিৎসক পদও শূন্য কয়েক বছর ধরে। হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্যাথলজী ল্যাব ও এক্সে মেশিন। গত ১০ বছর যাবত ২টি ল্যাব টেকনিশিয়ান ও এক্সে অপারেটর পদ শূন্য থাকায় সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে এসব কার্যক্রম।


ভূক্তভোগীরা নিরুপায় হয়ে পার্শ্ববর্তী ক্লিনিক থেকে গলাকাটা খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। এছাড়াও যেতে হচ্ছে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া ও বিভাগীয় শহর বরিশালে। এছাড়া ১০ জন নার্সেও ৪টি, ৩টি জন আয়ার ১টি এবং ৩টি ওর্য়াড বয় ও ২টি কুক/মার্শাল চিফ পদের সবগুলো শূন্য বহুদিন ধরে।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে অসংখ্য রোগী চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছেন। একমাত্র ডা. নিশাত সাহিদা রোগী দেখছেন। অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে চলে যাচ্ছেন।


ভূক্তভোগী রোগীরা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী এ হাসপাতালে আসেন, কিন্তু ডাক্তার না পেয়ে ফিরে যান।


উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার জানান, আমি এবং একজন সহকারী সার্জন দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনা করা খুবই কষ্টসাধ্য হচ্ছে। চিকিৎসকের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার চাহিদা পাঠানো সত্ত্বেও কোনো ফল হচ্ছে না।


বিবার্তা/আমিনুল/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com