শিরোনাম
শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ জখম ৬
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০১৮, ২১:৪০
শ্যামনগরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ জখম ৬
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শ্যামনগর উপজেলার বাধঘাটা গ্রামের পক্ষাঘাতগ্রস্ত হোটেল ব্যবসায়ী নূর আলী গাজীর বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতার নির্দেশে শনিবার সকালে সন্ত্রাসী মোস্তফা ও মিঠুর নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়।


ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে পক্ষাঘাতগ্রস্ত নূর আলীকে মারপিটের পর ঘর থেকে টেরে হিচড়ে বের করে রাস্তায় ফেলে দেয়ার সময় বাধা দেয়ায় গৃহবধূসহ ছয়জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। মুখ বেঁধে মোটরসাইকেলে করে অপহরণের চেষ্টা করা হয় ওই পরিবারের এক স্কুলছাত্রীকে।


শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসাধীন বাধঘাটা গ্রামের পারভিন আক্তার জানান, বাধঘাটা গ্রামের সাবিনা খাতুন ও তার ছেলে এমদাদুল হকের কাছ থেকে চলতি বছরের মে মাসে ছয় শতক জমি কিনে সেখানে ঘরবাড়ি বানানোর পর ওই জমি তাদের দাবি করে বিক্রেতাদের আত্মীয় আব্দুল বারী তরফদার তাদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে আসছিলেন। তাদের সব সমস্যা সমাধানের কথা বলে শ্যামনগরের ক্ষমতাসীন দলের একজন শীর্ষ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, তার কাছের লোক আশরাফ আলী, বাধঘাটার মনু চায়ের দোকানদারের ছেলে মোস্তফা তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকদফায় ১৬ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেন।


তারা আবারো টাকা চাওয়ায় দিতে না পারায় আদালতের ১৪৫ ধারার নোটিশ পাওয়ার পরও প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত ১০ আগস্ট উপপরিদর্শক রাজ কিশোর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশ তার স্বামী ও ভাসুরকে থানায় ছয় ঘণ্টা আটকে রেখে বারী তরফদার ও মোস্তফার নেতৃত্বে পাচটি ঘর ভাঙচুর, লুটপাট, মারপিট ও অগ্নিসংযোগে সহায়তা করেন। হামলায় পক্ষাঘাতগ্রস্ত বৃদ্ধ শ্বশুর নুর আলী গাজী বৃদ্ধা শাশুড়ি জহুরাসহ আহত হয় নয়জন।


সবকিছুই জগলুল স্যারের কথামত করতে হচ্ছে বলে তাদেরকে ও সাংবাদিকদের জানান উপপরিদর্শক রাজ কিশোর চক্রবর্তী। অথচ পুলিশ হামলাকারীদের দেয়া মিথ্যা মামলা আগে রেকর্ড করে। পরে তাদের দেয়া মামলা রেকর্ড করে। মিথ্যা মামলায় তিনিসহ চারজন আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। যদিও হামলাকারি আসামি বারী মাস্টার, তার ভাই আব্দুর রাজ্জাক ও হাই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়ে তাদেরকে উচ্ছেদের হুমকি দিচ্ছেন।


বিষয়টি গত ১৯ আগস্ট সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে জানালে পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। বারী মাস্টার, আব্দুর রাজ্জাক ও আব্দুল হাই ওই শীর্ষপর্যায়ের জনপ্রতিনিধির শেল্টারে থেকে শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সস্মেলন ও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছে না বলে অভিযোগ করেন পারভিন আক্তার।


তবে এমপি এসএম জগলুল হায়দার সাংবাদিকদের কাছে বিএনপিপন্থি দু’গ্রুপের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নিয়ে দখল বেদখলের সঙ্গে যুক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন।


বিবার্তা/আসলাম/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com