নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনাজপুরে পালিত হয়েছে ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে জাতীয় সম্পদ রক্ষার দাবি এবং উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের প্রতিবাদে মিছিল বের করা হলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৩ জন। আহত হয়েছিলেন প্রায় আড়াইশ জন।
দিবসটি উপলক্ষে রবিবার সকালে কালো ব্যাচ ধারণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। আলাদাভাবে দিনের কর্মসূচি শুরু করে 'তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি'সহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন। সব দোকানপাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে কর্মসূচিতে যোগ দেন এলাকাবাসী।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফুলবাড়ী শহর রক্ষায় কয়লা তোলার চেষ্টা প্রতিরোধের শপথ নেয় 'সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন'। অন্যদিকে দুর্নীতিবাজদের দায় মুক্তির আইন বাতিলের দাবির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে 'তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি'।
এই দুই সংগঠনের পৃথক কর্মসূচিতে মিছিলের শহরে পরিণত হয় ফুলবাড়ী শহর। রবিবার সকালে বাজাররোড এলাকা থেকে শোকর্যালি বের করে স্থানীয়দের গঠিত 'সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠন'। এতে অংশ নেন সংগঠনের আহবায়ক পৌরসভার মেয়র মুরতুজা সরকার মানিক, সদস্য সচিব শেখ সাবীর আলী এবং মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সেদিনের শহীদ তরিকুল, সালেকিন এবং আল আমিনের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে ফুলবাড়ী শহর রক্ষায় কয়লা তোলা প্রতিরোধের শপথ নেন তারা।
অন্যদিকে উপজেলার ঢাকা মোড় থেকে শোকর্যালি বের করে 'তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি'। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ অর্পন শেষে নিমতলা মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
এতে বক্তব্য দেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েত সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা শাহিন রহমান এবং বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির আনসার আলী দুলাল প্রমুখ।
এ সময়, এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বাহিষ্কার এবং ছয় দফার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ দায় মুক্তির আইন বাতিলের দাবি জানান তারা।
বিবার্তা/মেহেদী/শাহী/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]