বান্দরবানের লামা উপজেলায় দুই ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বিজিবি'র তিন সদস্য ধর্ষণ করেছে বলে মামলার এজাহারে দাবি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার লামা থানায় দায়ের করা ওই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘রবিউল নামে বিজিবির এক নায়েক এবং মারুফ ও সুমন নামের দুই সৈনিক’ বুধবার রাতে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
তবে, বিজিবি'র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই নামে কোনো সদস্য ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনফুর বিজিবি ক্যাম্পে নেই।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার জানান, লামা থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এদিকে ১৭ ও ১৪ বছর বয়সী মেয়ে দুটিকে শুক্রবার দুপুরে পুলিশের পাহারায় জেলা সদর হাসপাতালে মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। সাংবাদিক বা বাইরের কাউকে এ সময় ভিকটিমদের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়নি।
মেয়ে দুটির সঙ্গে থাকা দুই ভাই সাংবাদিকদের বলেন, বুধবার রাত প্রায় ১০টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী গিয়ে মেয়ে দুটিকে ডেকে নেয়। পরিবারের লোকজন জানতো না যে, ওই দুই কিশোরী কোথায় গেছে।
পরিবার বলছে, সারা রাত দুশ্চিন্তায় থাকার পর বৃহস্পতিবার ভোরে পাশের একটা জঙ্গলে ওই দুই কিশোরীকে পাওয়া যায়। বাড়ি আনার পর তারা ‘বিজিবি সদস্যদের’ দ্বারা ধর্ষণের শিকার হওয়ার কথা বলে।
এ ব্যাপারে মুখ খুললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও জানায় তারা।
পরে এক ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। লামা থানার এসআই মো. আব্দুল্লাহকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন অংশৈপ্রু সাংবাদিকদের বলেন, “ভিকটিমদের শুক্রবার দুপুরে হাসপাতালে আনার পর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মেডিকেল টেস্টের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। সেজন্য একটি বোর্ড গঠন করা হবে।”
তবে কবে মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট পাওয়া যাবে- সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “ওইদিন বিজিবি সদস্যরা বনফুর বাজারে ডিউটিতে ছিল। পাড়ার দিকে যাওয়ার কথা ছিল না। আর যে নামে অভিযোগ দেয়া হচ্ছে ওই নামে আমাদের কোনো বিজিবি সদস্য নেই।”
বিবার্তা/জাহেদ/কামরুল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]