শিরোনাম
লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের আশঙ্কা
প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৫৩
লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচারের আশঙ্কা
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ভারতে চামড়া পাচারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে চোরাচালান সিন্ডিকেটের সদস্যরা।


বিশেষ করে জেলার মোগলহাট, দুর্গাপুর, বুড়িরহাট, চন্দ্রপুর, সিঙ্গিমারী, জাওরানী, বড়খাতা, ঠ্যাংঝাড়া, নবীনগর, জগৎবেড়, ধবলসুতি, কুচলিবাড়ী, শমসেরনগর ঝালঙ্গীসহ বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে চামড়া পাচারকারীরা সক্রিয় রয়েছে বলে জানা গেছে।


এদিকে, চামড়া পাচার ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) পক্ষ থেকে প্রতিটি গাড়ি তল্লাশির পাশাপাশি দৃষ্টি রাখা হবে সীমান্ত পয়েন্টগুলোর দিকে। যাতে করে দেশের সম্পদ বিভিন্ন চামড়াজাত পণ্য যেন বিদেশে পাচার হতে না পারে।


জানা গেছে, ঈদুল আজহার দিন থেকে পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে এ চামড়া পাচার করা হয়ে থাকে। আার এ চামড়াগুলো সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পাচার হয়।


সূত্র জানায়, প্রতি বছর কুরবানির ঈদ সামনে রেখে চামড়া পাচারকারীরা মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে চামড়া সংগ্রহ করার জন্য নিয়োগ দিয়ে থাকে শত শত দালাল। তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় লাখ লাখ টাকা। এতে একদিকে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা যেমন বিপাকে পড়েন, অন্যদিকে চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন সাধারণ মানুষ।


লালমনিরহাট শহরের চামড়া ব্যবসায়ী আমির মিয়া, আদিতমারীর আসাদুল ইসলাম ও মিজান মিয়া জানান, ঈদে চামড়া কেনাবেচায় বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে হয়। চামড়া কিনতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন তা যোগান দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। কিন্তু চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের কিছু সদস্য ঈদ সামনে রেখে চামড়াগুলো বেশি দামে কিনে ভারতে পাচার করছে।


তারা জানান, প্রতি বছর সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট থেকে অন্তত ৯৫ হাজার থেকে ১ লাখ গরু, ছাগল ও ভেড়ার চামড়া সংগ্রহ করা হয়। প্রতি বছর মৌসুমী ব্যবসায়ীদের তৎপরতার কারণে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়ার অধিকাংশই কিনতে পারেন না। ফলে বেশিরভাগ চামড়াই চলে যাচ্ছে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে।


এসব মৌসুমী ব্যবসায়ীদের সাথে চামড়া পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যদের যোগাযোগ থাকায় খুব সহজেই এসব চামড়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


তবে, চামড়া পাচার ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) টহল জোরদারসহ সার্বক্ষণিক সতর্ক বলে সংশ্লিষ্ট বিজিবি সূত্রে জানা গেছে।


লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম মোর্শেদ জানান, চামড়া পাচার ঠেকাতে বিজিবির পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তামূলক সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যে কোন মুল্যে দেশের সম্পদ চামড়া পাচার রোধে বিজিবি কাজ করে যাবে।


বিবার্তা/জিন্না/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com