ঝালকাঠির রাজাপুরের কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক সত্যজিৎ মাতুব্বরের শিশু শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের বিচারের দাবিতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ক্লাসবর্জন করেছে।

খবর পেয়ে রবিবার সরেজমিন গিয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের না পেয়ে শিক্ষক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, শনিবার মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কাগজে বিভিন্ন রকমে ফুল ও সাথে বড় অক্ষরে আরবীতে আল্লাহু লিখে তাদের শ্রেণি কক্ষের দেয়ালে লাগিয়ে রাখে। পঞ্চম পিরিয়র্ডে ক্লাস নিতে আসা মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক সত্যজিৎ মাতুব্বর স্যার দেয়ালে ওই চিত্র দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে বেত দিয়ে আতিকুর রহমান, সাকিব, সিয়াম, আবিদ, আঁখি, জুবাইদা, বুশরা, ইসরাতি ও সানজিদাকে পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে আতিকুর, ইসরাতি, সানজিদা ও সাকিবদের বাড়িতে গেলে তারা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ওই শিক্ষকের আপত্তিকর আচরণ নিয়েও অভিযোগ তুলেন। এ নিয়ে ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক সত্যজিৎ মাতুব্বরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওরা ক্লাসরুম নোংরা করার কারণে আমি শুধু ২/১ টি চড় থাপ্পড় দিয়ে ওদের ভেতরে ভীতি তৈরি করেছি। এছাড়া আরো যদি কিছু করে থাকি তা আমার প্রিন্সিপাল আছেন তিনি দেখবেন।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ওয়ালিউল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি এবং শিক্ষার্থীরা আমার কাছে এলে আমি তাদেরকে শান্ত করে ক্লাসেফিরে যেতে বলেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আফরোজা বেগম পারুল বলেন, আমি বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজারকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।

বিবার্তা/আমিনুল/জাকিয়া