সাভার পৌরসভার কার্যক্রম ২৬ বছর পেরিয়ে গেলেও পৌরবাসীর সমস্যার শেষ নেই। গোটা পৌরসভার বেশির ভাগ সড়কের দশা এখন বেহাল। এছাড়া পৌর এলাকার প্রধান কয়েকটি সড়কের বেশকিছু স্থানে পানি জমে থাকার কারণে যান চলাচল বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পানি উঠে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধাতার কারণে অনেক বাড়িতেই পানি ঢুকে গেছে। এতে রান্না-বান্নার কাজ, গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি ও শিশুদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন এলাকাবাসী।
১৯৯১ সালে পৌরসভা হিসেবে উন্নীত হওয়ার পর সাভার পৌরসভার কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯২ সালের ১৬ মার্চ। ১৪.০৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই পৌরসভা ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে। এ পৌরসভার জনসংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
সাভার পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় রাস্তাঘাট। জলাবদ্ধতা এখানে একটি গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এক ঘণ্টার বর্ষণে কোনো কোনো মহল্লার বাড়িঘর ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়ে। কিছু এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার করা হলেও যেসব এলাকায় এখনো কাজ চলছে, সেসব এলাকার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
পৌরসভার উলাইল, কাতলাপুর ও গেন্ডা এলাকায় তিনটি রাস্তা ভাঙা থাকায় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সময়মতো ক্লাশে যেতে পারছে না।
এলাকাবাসী জানায়, বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এক সময় শহরের পয়ঃপানি খাল-নালা দিয়ে বংশী নদীতে গিয়ে পড়ত। কিন্তু নদী-নালা, খাল-বিল দখল করে অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি, দোকানপাট, মিল-কারখানা গড়ে তোলার ফলে পয়ঃনিষ্কাশনের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এখন আর পানি ও ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন হয় না। তাই বর্ষা মৌসুম এলেই সাভার পৌরবাসীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
পৌর এলাকার বেশির ভাগ সড়কের এখন বেহাল অবস্থা। বহুদিন সব সড়কের সংস্কার কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। ফলে সড়কের পুরো অংশই খানাখন্দে ভরে গেছে। পিচঢালা পথ হলেও এখন আর পিচের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কগুলোতে এখন সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। বড় বড় গর্ত থাকায় অনেক সময় যানবাহন উল্টে পড়ে গেলেও জীবনের ঝুঁকি ও চরম দুর্ভোগ সহ্য করে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই তিনটি সড়কে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সাভার পৌরসভার মেয়র আব্দুল গণি এলাকার রাস্তার দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এলাকাবাসীর একটু কষ্ট হচ্ছে। কারণ রাস্তায় ড্রেনের পাইপ বসানো হচ্ছে। পাইপ বসানোর পর রাস্তা সংস্কার করা হবে। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
দ্রুত ভাঙা রাস্তা মেরামত করে মানুষের চলাচলের উপযোগী করবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এমন আশা প্রকাশ করেন পৌরবাসী।
বিবার্তা/শরিফুল/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]