শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গায় জনতা ব্যাংকে অভিনব কায়দায় ২ লাখ টাকা প্রতারনার চেষ্টা
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০১৮, ০২:২১
চুয়াডাঙ্গায় জনতা ব্যাংকে অভিনব কায়দায় ২ লাখ টাকা প্রতারনার চেষ্টা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চুয়াডাঙ্গা রেল বাজার জনতা ব্যাংক শাখায় অভিনব কায়দায় দুই লাখ টাকা প্রতারনার চেষ্টা করে পালানোর সময় ফরিদ নামে একজনকে আটক করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জনতা। ক্যাশিয়ারের দৃঢ়তায় রক্ষা পেল সরকারের দুই লাখ টাকা।


গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে প্রতারনার চেষ্টা করে পালানোর সময় ষ্টেশন এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে প্রতারক মাদারীপুরের ফরিদ ওরফে হারুনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।


আটককৃত প্রতারক চুয়াডাঙ্গা স্কুল পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে পরিচয়দানকারি হল- মাদারীপুর জেলার চর কামারকান্দি গ্রামের মৃত চান মিয়া ভূইয়া’র ছেলে হারুন(৪০)।


জানা যায়, চলতি মাসের ১০ তারিখে চুয়াডাঙ্গা রেল বাজার জনতা ব্যাংক শাখায় একাউন্ট খোলে ফরিদ মিয়া নামে একজন। ব্যাংকে দেয়া কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী সে চুয়াডাঙ্গা স্কুল পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে। উক্ত একাউন্টে সামান্য কিছু টাকা লেনদেনও করা হয়। দীর্ঘ কয়েকদিন পর চক্রান্তের বাস্তব রুপদিতে গতকাল বুধবার বেলা ১১টার কিছু আগে ব্যাংকে আসে প্রতারক ফরিদসহ তার এক সহযোগী। কিছু সময় অপেক্ষার পর প্রথমে-৬৯৩০০৫২ নাম্বারের ১’হাজার ৫’শ টাকার একটি চেক সিনিয়র অফিসার দিয়ে পাশ করিয়ে নেয়। এর পর ৬৯৩০০৫২ নাম্বারে ১৫০০ টাকা উত্তোলন না করে আর এর পর সিনিয়র অফিসারে’র সিল স্বাক্ষর জাল করে অপর একটি ৬৯৩০০৫৪ নাম্বার এর দুই লাখ টাকার চেক অন লাইনে পোস্টিং ছাড়াই ১৫০০ টাকার জন্য টোকেন ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেয় সে।


এ সময় ক্যাশিয়ার দায়িত্বরত অফিসার কে বলেন চেকটি অন লাইনে পোস্টিং দেয়া হয়নি কেন তখন তিনি বলেন আমি তো দুই লাখ টাকার পোস্টিং দেই নি বলাতে কৌশলে পালিয়ে যায় প্রতারক। ক্যাশিয়ারসহ কর্তৃপক্ষ ঘটনা অনুমান করার সাথে সাথে প্রতারকের পিছু ধাওয়া করে ব্যাংকের লোকজনসহ স্থানীয়রা। একপর্যায় রেল ষ্টেশন এলাকা থেকে আটক করে ব্যাংকে আনা হয় মাদারীপুর জেলার চর কামারকান্দি গ্রামের মৃত, চান মিয়া ভূইয়া’র ছেলে হারুনকে।


উত্তেজিত জনতা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে ব্যাংকে আটকে রাখে তাকে। পরে জনতা ব্যাংকের চুয়াডাঙ্গা এরিয়া অফিস ও বিভাগীয় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আটক প্রতারককে সদর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।


চুয়াডাঙ্গা রেলবাজার শাখার ব্যাংক ম্যানেজার, জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চলতি মাসের ১০ তারিখ একাউন্ট খোলার পর বুধবার বেলা ১১টার দিকে ব্যাংকের সিনিয়র অফিসারের সিল স্বাক্ষর জাল করে ১টি দুই লাখ টাকার চেক অন লাইন পোস্টিং ছাড়াই ক্যাশ কাউন্টারে জমা দেয় প্রতারক। অভিজ্ঞ ক্যাশিয়ার বিষয়টা বুঝে ফেলাতে প্রতারক পালানোর চেষ্টা করে। কিছু সময় পর তাকে স্থানীয় ব্যাক্তিদের সহয়তায় রেল ষ্টেশন এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে সদর থানা হেফাজতে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এদিকে, এই ঘটনার বিষয়ে জনতা ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা এরিয়া অফিসের এজিএম নূরুল ইসলাম বলেন, উক্ত শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের দক্ষতার ফলে এ ধরণের প্রতারককে ধরা সম্ভব হয়েছে। প্রতারক ফরিদ নামে ওই ব্যাক্তিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


বিবার্তা/আজাদ/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com