শিরোনাম
বরিশালে তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর, থানায় মামলা
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৮, ২২:৫৫
বরিশালে তিন পুলিশ সদস্যকে মারধর, থানায় মামলা
বরিশাল ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) এর স্টাফ অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম, কমিশনারের দেহরক্ষী কনস্টেবল হাসিব ও বিএমপি মিডিয়া বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনেস্টাবল ওবায়েদসহ তিন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ।


এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি পাওয়া না গেলেও মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাহফুজুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি ওই ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।


এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, এ সংক্রান্তে একটি বিবৃতি পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হতে পারে।


মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৪ জুলাই রাতে বরিশাল নদী বন্দরে থাকা সুন্দরবন-১১ লঞ্চের ভিআইপি লাউঞ্জে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ ও প্রাধনমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসানকে বিদায় জানানোর জন্য বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি ও বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) যান।


এ সময় তারা লঞ্চের ভিআইপ লাউঞ্জে প্রবেশ করেই অনেক লোকজনের অবস্থান দেখতে পান। যারমধ্যে একজন ব্যক্তি একটি বড় অস্ত্র হাতে নিয়ে সোফার উপরে বসে আছে। এ সময় ডিআইজি ও পুলিশ কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) তাদের নিজেদের পরিচয় দিয়ে ভিআইপি লাউঞ্জে উপস্থিত ভিআইপি যাত্রী ব্যতীত অতিরিক্ত লোকজনেক সংরক্ষিত এলাকাটি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং ভিআইপি লাউঞ্জে দুই সচিব আসার বিষয়ে অবহিত করেন।


এ সময় পুলিশ কমিশনারের স্টাফ অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম বরিশালে নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান থাকায় ও দুই সচিবের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তিকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তি তার অস্ত্রের লাইসেন্স দেখাতে ও নিজের পরিচয় দিতে অস্বম্মতি প্রকাশ করলে পুলিশ কমিশনারের দেহরক্ষী কনস্টেবল হাসিব তাকে ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বাহিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।


অনুরোধে ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির সাথে থাকা সৈকত ইমরান নামের এক ব্যক্তি কমিশনারের দেহরক্ষীর সাথে তর্ক-বিতর্কে জড়ায়। তর্ক-বিতর্কের এক পর্যায়ে অস্ত্রধারী ব্যক্তি ও সৈকত ইমরান উত্তেজিত হয়ে তাহাদের সাথে থাকা সঙ্গীদের নিয়ে পুলিশ কনস্টেবল হাসিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে পথরোধ করে এলোপাথাড়ি মারপিট করে। পুলিশ কমিশনারের স্টাফ অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদুল ইসলাম তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করলে তাকেও মারধর করা হয়।


পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিচয় দিয়ে সরকারী নিরাপত্তার কাজে আসার কথা জানালেও তাদের ওপর হামলা অব্যাহত থাকে। একপর্যায়ে অস্ত্রধারী ব্যক্তি তাহার অস্ত্র দিয়ে স্টাফ অফিসার ও বডিগার্ড মো. হাসিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করতে উদ্যত হয় এবং স্টাফ অফিসারকে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করার চেষ্টা করে। এ সময় বিএমপি মিডিয়া বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল ওবায়েদ ঘটনার ছবি তুলতে চাইলে তাকে মারপিট করে ক্যামেরা ছিনিয়েনেয়ার চেষ্টা করে এবং তাকে কগুরুতর জখম করে।


এক পর্যায়ে পুলিশ কমিশনার বিএমপি কন্ট্রোল রুমে জানালে মামলার বাদি এসআই নিজাম মাহমুদ ফকিরসহ কোতয়ালী মডেল থানার ওসি, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ), কোতোয়ালি মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তবে এরআগেই অস্ত্রধারী ব্যক্তি ও সৈকত ইমরানসহ তাদের সহযোগীরা ভিআইপি লাউঞ্জ ত্যাগ করে।


এদিকে ঘটনার সময় দুই সচিব লঞ্চে অবস্থান করলেও ভিআইপি লাউঞ্জে ঢুকতে পারছিলোনা। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা উভয় সচিবকে ভিআইপ লাউঞ্জে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ১৫ জুলাই বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানায় এসআই নিজাম মাহমুদ ফকির নামধারী সৈকত ইমরানসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।


বিবার্তা/আরিফ/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com