শিরোনাম
বিশ্বনাথে অবাধে চলছে পোনা নিধন
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০১৮, ১৮:৩৩
বিশ্বনাথে অবাধে চলছে পোনা নিধন
বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বর্ষার পানিতে খাল বিল ও নদী নালায় ঝাঁকে ঝাঁকে বেড়ে ওঠা মাছের পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ অবাধে নিধন হচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায়। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী প্রকাশ্যে নানা প্রজাতির পোনা মাছ ধরে বিক্রি করছে হাটবাজারে।


নিষিদ্ধ কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার সরঞ্জাম দিয়ে কতিপয় মৎস্য শিকারি পোনা নিধন করলেও ‘রহস্যজনক’ নীরব ভূমিকায় রয়েছে উপজেলা মৎস্য অধিদফতর। দীর্ঘ দু’বছর ধরে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল বিক্রেতা-ব্যবহারকারী ও এসব মাছ বিক্রির বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা করা হয়নি। এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।


অনেকে মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ‘ম্যানেজ’ করেই মাছের পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ অবাধে নিধন, প্রকাশ্যে বিক্রয় ও কারেন্ট জাল ক্রয়-বিক্রয় চালিয়ে আসছে অসাধু ব্যবসায়ী ও শিকারিরা।


সরকারি নির্দেশানুযায়ী, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ ইঞ্চির নীচে সব ধরণের মাছ ধরা ও বিক্রয় নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বনাথের হাটবাজারে নিয়মিতই পাওয়া যাচ্ছে প্রচুর পোনা মাছ। যার ফলে এ উপজেলায় মাছের বংশবৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


সম্প্রতি বিভিন্ন হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালিবাউস, পাবদা, আইড়, ঘনিয়াসহ দেশীয়
প্রজাতির পোনা মাছ। মৎস্য শিকারিরা উপজেলার বিভিন্ন হাওর-বাওর থেকে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বেড় জাল, সুতি জাল ও হরেক রকম খাঁচা দিয়ে পোনা ধরে নিয়ে আসে।


স্থানীয় হাটবাজার বিশেষ করে উপজেলা সদরের পুরাণ ও নতুন বাজারে ক্রয়-বিক্রয় চলে ধরে আনা পোনা মাছ। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে পোনা মাছ বিক্রি ও সদরের পুরাণ বাজারের দু’একটি দোকানে নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের রমরমা বাণিজ্য হলেও রহস্যজনক কারণে কোনো আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেউ।


এদিকে, গত রবিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে সদরের নতুন বাজারে পোনা মাছ বিক্রির সত্যতা পান মৎস্য অফিসের সহকারী জসিম উদ্দিন। ওইদিন তিনি বাজার থেকে পোনা মাছের ছবি তুলে নিয়ে যাবার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।


সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া উপজেলা মৎস্য দফতরের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে যোগদানের পর অদ্যাবধি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, পোনা ও ডিমওয়ালা মা মাছ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় অনেকটাই ‘বৈধতা’ লাভ করেছে এসব কর্মকাণ্ড।


অভিযোগ রয়েছে, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ী, পোনা শিকারি ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে নিয়মিত বড় অংকের উৎকোচ নিয়ে থাকেন এই সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা।


এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা মৎস্য দফতরের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যারা এসব করছে আমি তাদের চিনিই না। তবে, অচিরেই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, পোনা নিধনকারী ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/আব্বাস/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com