প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে না চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতাল। তিনটি অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে দু’টির টেবিল এবং সিলিং লাইট নষ্ট। সে সাথে সংকট রয়েছে ডায়াথারমি, ল্যাপ্রোস্কোপি এবং প্যাথলজি এনালাইজারের।
তিন বছর পর এক্সরে মেশিন চালু হলেও নেই পর্যাপ্ত টেকনিশিয়ান। নানা জটিলতার কারণে যন্ত্রপাতিও সংগ্রহ করতে পারছে না হাসপাতালটি। বর্তমানে নানা সমস্যায় জর্জরিত চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালটি। বিশেষ করে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট মারাত্মক।
হাসপাতালের ৩টি অপারেশন থিয়েটারের মধ্যে পুরোদমে চালু রয়েছে মাত্র একটি অপারেশন থিয়েটার। বাকি দু’টি চালাতে হচ্ছে অনেকটা জোড়াতালি দিয়ে। অপারেশন টেবিলগুলো যেমন ত্রুটিপূর্ণ, তেমনি নষ্ট হয়েছে অপারেশন থিয়েটারের সিলিং লাইটও।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ডা. নুরুল আজিম বলেন, তিনটা ওটিতে আমরা কাজ করছি। তার মধ্যে দুইটা ওটি টেবিল পুরোপুরি নষ্ট। একটামাত্র সিলিং লাইট কার্যকর আছে। আর বাকিগুলো আমরা জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।
রোগ নিরূপণ বা প্যাথলজি বিভাগেও রয়েছে যন্ত্রপাতির সংকট। টানা তিন বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি চালু করা হয়েছে এক্সরে মেশিন।
কিন্তু এক্সরে ফিল্ম সরবরাহ এবং টেকনিশিয়ানের সমস্যার সমাধান হয়নি।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কান্তি নাথ বলেন, প্যাথলজিতে আমাদের অ্যানালাইজার মেশিন নেই। আগেও ছিলো না। আমার অবশ্যই একটা অ্যানলাইজার মেশিন দরকার। এখন সেটা না হলে, ওটিতে কোনো জিনিস নষ্ট হয়ে গেলে ওটি বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের বিধান রয়েছে হাসপাতালটিতে। কিন্তু বর্তমানে তালিকাভুক্ত ৫৮ ধরণের ওষুধের মধ্যে দেয়া যাচ্ছে মাত্র ২৩ ধরণের।
১৯০১ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার বৃহত্তর চট্টগ্রামের রোগীদের সুবিধার্থে রংমহল পাহাড়ে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালে আউটডোর, ইনডোর এবং জরুরি বিভাগে প্রতিদিন অন্তত ১৫শ’ রোগী চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
বিবার্তা/জাহেদ/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]