শিরোনাম
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবারো ভাঙ্গন
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৮, ১৪:০৩
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবারো ভাঙ্গন
চাঁদপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে আবারো মেঘনার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে শহরের পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকার প্রায় একশ’ মিটার আরসিসি ব্লকবাঁধ নদীতে তলিয়ে গেছে। নতুন করে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।


নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী জানান, শহর রক্ষা বাঁধের পুরাণবাজার এলাকার প্রায় ১১শ' মিটার বাঁধের রাম ঠাকুর মন্দির, পুরাণবাজার মোলহেড, দক্ষিণ বাজার, হরিসভা ও রনাগোয়াল বকাউল বাড়ি পর্যন্ত এ কয়েকটি পয়েন্ট মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। দুটি স্থানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংরক্ষণ কাজ চলমান থাকার মধ্যেও নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত ব্লক এবং বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা না হলে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকার বিরাট জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।


চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিমল চৌধুরী জানান, গত দুইদিনে হরিসভা মাস্টার বাড়ির পেছনে শহর রক্ষা বাঁধে ফাটল দেখা দেয়। পরে কয়েক সারির ব্লকবাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে পুরাণবাজার মধ্য ও পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকা এখন নদী ভাঙ্গনের মুখে রয়েছে।


চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বিবার্তাকে বলেন, বর্ষার পানি প্রবাহের সাথে সাথে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষে প্রবল ঘুর্ণিপাত বইছে। ঘুর্ণিপাতের তীব্রতায় পুরাণবাজার হরিসভার ডাউনে ৬০/৭০ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙ্গন বিষয়টি জেলা প্রশাসকও মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংরক্ষণে ব্লক ফেলার ব্যবস্থা নিচ্ছি।


২০০৫-২০০৬ সালের পর চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংরক্ষণে বরাদ্দ পাওয়া যায়নি, তাই এ এলাকায় বড় কোনো কাজ হয়নি বলে তিনি জানান।


এদিকে এলাকাবাসী দাবি করেছেন, নদী ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর শহরকে রক্ষায় বিক্ষিপ্ত কোনো কাজ নয়, স্থায়ীভাবে রক্ষার পরিকল্পিত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। বর্তমানে বড় স্টেশন মোলহেড থেকে পুরাণবাজার হরিসভা-বকাউল বাড়ি পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের এখানে মেঘনার পানির সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ৭০ ফুট।


বাঁধ ঘেঁষে ঘূর্ণিপাক ও উল্লেখিত এলাকায় পানির গভীরতা অপ্রত্যাশিত হবার কারণে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।


এলাকাবাসী জানায়, প্রতি বছর বর্ষা আসলেই নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কী কাজ করায় তাও বোধগম্য নয়। এ বছর এখনই নদীর পরিস্থিতি ভয়াবহ। সামনে বর্ষার ভরপুর সময় তো রয়েছেই। বড় ধরনের ভাঙ্গন শুরু হবার আগেই ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভাঙ্গন কবলিত শহরবাসী।


শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান বলেন, নদী ভাঙ্গছে খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমরা চাঁদপুরে যারা আছি, সবাই সেখানে গিয়েছি এবং পর্যবেক্ষণ করে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে আমাদের স্টকে থাকা ব্লক ফেলার উদ্যোগ নিয়েছি।


বিবার্তা/ইমরান/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com