শিরোনাম
সিংড়ায় জালাল উদ্দিন কারিগরি বিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০১৮, ১৩:৫৩
সিংড়ায় জালাল উদ্দিন কারিগরি বিদ্যালয়ে দুর্নীতির অভিযোগ
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের সিংড়া উপজেলার আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সিংড়া পৌর এলাকায় অবস্থিত কারিগরি এ স্কুলে সুপার পদে রয়েছেন দুজন। তাদের দু'জনের দ্বন্দ্বের শিকার স্কুলটি।


সুপার নজরুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সুপার উম্মে সালমা খানম দ্বন্দে ও জর্জরিত অত্র প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পরে ২০০২ সালে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠাতা মো. মাহাবুবুর রহমান বিদ্যালয়ের জায়গা বড় হরিপুর মৌজায় উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি কাঁটাপুকুরিয়া মৌজায় অবস্থিত।


অভিযোগ আছে, প্রতিষ্ঠাতা মাহাবুবুর রহমান টাকার বিনিময়ে অযোগ্য শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করেন। তিনি নিজেও কর্মচারী পদ নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ভূয়া। প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মচারী একই ব্যক্তি মো. মাহাবুবুর রহমান যিনি প্রতি মাসে ঘরে বসে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন এবং ২ থেকে ৩ মাস পর পর মূল হাজিরা খাতা বাড়িতে নিয়ে স্বাক্ষর করেন। অথচ সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠাতা কখনো কর্মচারী পদে সরকারি সুযোগ সুবিধা পেতে পারে না।


সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রকাশ, ২০০৮ সালে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটি অডিট হয়। ওই অডিটে সকল শিক্ষক ও কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ক্রটি বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হওয়ায় চাকরির শুরু থেকে ৩১/০৯/২০০৮ পর্যন্ত তাদের সকল টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে ০১/১০/২০০৮ তারিখ থেকে সরকারি বেতন-ভাতা গ্রহণ করলে তাও ফেরতযোগ্য হবে বলে জানানো হয়। অথচ তারপরও এসব অনিয়ম করেই দিব্যি চলছে প্রতিষ্ঠানটি।


অভিভাবকরা জানান, শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ আর প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা নিয়মিত অনুপস্থিত। এ কারণে সন্তানদের ওই স্কুলের পরিবর্তে অন্য স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন তারা। এতে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কমছে।


প্রতিষ্ঠাতা মো. মাহাবুবুর রহমান দাবি করেন, প্রতিটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান কম বেশি দুর্নীতিগ্রস্থ। এখানে আমার কোনো কর্তৃত্ব নাই। আমি শুধু মাঝে মাঝে স্কুলে যাই।


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, কিন্তু এই বিষয় দেখার দায়িত্ব আমার না, এটা দেখবে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি।


বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত ) বিপুল কুমার জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে যাদের বিরুদ্ধে অডিট কমিটির রিপোর্টে যে অনিয়ম ধরা পড়েছে তার বিরুদ্ধে কী কারণে ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তাও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


বিবার্তা/রাজু/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com