দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এবছর পাট চাষ ভালো হলেও পর্যাপ্ত পরিমানে পানি কিংবা পাট জাগার জায়গা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাট চাষীরা। পাট চাষ করে সময়মত পাট পানিতে ফেলতে না পারলে যেমন শুকিয়ে যায় তেমনি এই বর্ষার মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকায় পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক কৃষক পাট জমিতেই রেখে দিয়েছেন। আবার অনেকেই পাট কাটতে পারছেন না বলেও জানান। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকায় পাট জমিতেই রেখে দিচ্ছেন অনেকেই।
খানসামার ভান্ডারদহ গ্রামের পাট চাষী ইউনুস আলী জানান, আমি গতবার পাট লাগিয়েছিলাম, কিন্তু ভালো ফলন পাইনি। এবার আমার পাটের ভালো ফলন হয়েছে তবে সমস্যায় পড়েছি পানি এবং পাট জাগ দেয়া নিয়ে। কারণ এই সময় আকাশের বৃষ্টি হয় ফলে বিভিন্ন খালে পানি জমে থাকে কিন্তু এবার বৃষ্টি না হওয়ায় আমরা খালে/বিলে পাট জাগ দিতে পারছি না।
একই গ্রামের হাসান আলী বলেন, আমি পাট কেটে জমিতে রেখে দিয়েছি। পানি নেই বলে পাট জাগ দিতে পারছি না। এভাবে বেশিদিন থাকলে পাট শুকিয়ে যাবে। তখন পাটের আশ ভালো হবে না। ফলে পাটের ওজন কমে যাবে এবং ছাল ছাড়াতে কষ্ট হবে।
পাট চাষী ইফসুফ আলী বলেন, গ্রামের মধ্যে আগে অনেক খাল ছিল, আমাদের আশপাশে কোনো নদ-নদী নেই তাই আমরা গ্রামের খাল গুলোতে পাট কাটার পর পানিতে জাগ দিতাম কিন্তু বর্তমানে এরকম খালের পরিমাণও কমে গেছে ফলে পাট জাগ দেয়ায় অনেকেই অসুবিধার মধ্যে পড়েছি।
পাট চাষের প্রতি দিন দিন সরকারি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন সংস্থা প্রতিনিয়তই গুরুত্ব দিলেও পাট চাষীদের এমন অবস্থা হলে গ্রামের এসব মানুষ পাট চাষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে বলেও অনেকেই ধারণা করছেন।
পাট চাষীদের দাবী, সরকারিভাবে পাট চাষের উপর গভীর নলকূপ কিংবা খালের ব্যবস্থা করে দিলে পাট চাষীরা হাফ ছেড়ে বাঁচবে এবং পাট চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়বে।
বিবার্তা/মোমেন/শারমিন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]