ধরলা নদীর পানি কমতে শুরু করায় কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে করে কুড়িগ্রাম সদর ও ফুলবাড়ী উপজেলায় ধরলা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে পানি নেমে গেলেও নিম্নাঞ্চলে এখনো পানিতে ডুবে আছে। বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে গত তিন দিন ধরে পানিবন্দী অবস্থায় থাকা চরাঞ্চলের মানুষদের মাঝে। কিন্তু পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ ঘর-বাড়ি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকার মানুষজন।
সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী জানান, তার ইউনিয়নের প্রায় চার হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে বর্তমানে পানি নেমে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, ধরলা নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চেয়ারম্যানদের নিকট থেকে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। তালিকা পেলে সহযোগীতা করা হবে।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় পানি ঢুকে পড়ছে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চর ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলগুলোতে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি ৪১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিবার্তা/সৌরভ/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]