শিরোনাম
চলাচলের অনুপযুক্ত তানোরের মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০১৮, ১৬:৪৭
চলাচলের অনুপযুক্ত তানোরের মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দুর্ভোগের আরেক নাম তানোর মুন্ডুমালা-আমনুরা সড়ক। রাস্তার পিচ, ইট, বালু উঠে গিয়ে এখন কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে সড়কটি। দেখে মনে হবে কাঁচাপাকা সড়ক। অনেক জায়গায় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় দিনই ছোট-বড় যানবহন বিকল হয়ে পড়ছে সড়কের মাঝপথে। কোথাও কোথাও যাত্রীরা নেমে ধাক্কা দিয়ে ঠেলে যানবহনগুলোকে পারাপার করেন।


জেলার তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা-আমনুরা প্রধান সড়কের চিত্র এটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে যাতায়েতের আর কোনো বিকল্প রাস্তা না থাকায় অনেকটা বেকায়দায় পড়ে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করছে তানোর ও মোহনপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ।


শুধু মুণ্ডুমালা-আমনুরা সড়কেই নয়, তানোরের সাথে গোদাগাড়ী উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি অবস্থায়ও অনেকটা করুণ। মুণ্ডুমালা হতে গোদাগাড়ীর জটেবটতলা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তাটি ১৫ বছর ধরে সংস্কার না হওয়াই এমন পর্যায়ে গেছে যে, দেখে মনে হবে এটি পাকা সড়ক নয়। যে কাঁদাময়, কোনো গ্রামের রাস্তা। পিচপাথর, ইট, বালুর কোনো চিহ্ন নেই। বড় বড় গর্ততে পরিণত হয়েছে। গোদাগাড়ী হতে মুণ্ডুমালা পর্যন্ত এক সময় চলেছে বাস। রাস্তার এ করুণ অবস্থার কারণে গত সাত বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে বাস চলাচলও।


তানোর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র মতে, ১৯৯২ সালের প্রায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা আমনুরার থেকে তানোর হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত প্রধান সড়ক কাঁচা থেকে পাকাকরণ করা হয়। এর মধ্যে আমনুরার ধামধুম ব্রীজ থেকে বাগসারা পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার সড়ক তানোর উপজেলার মধ্যে রয়েছে।


তানোর উপজেলার ৩৩ কিলোমিটার পাকা সড়কের মধ্যে মুণ্ডুমালা বাজার হতে-বাগসারা পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়ক একাধিকবার সংস্কার করা হলেও মুণ্ডুমালা-থেকে আমনুরা ধামধুম পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কটি ১৯৯২ সালের পরে ২৮ বছরের একবারেও সংস্কার করা হয়নি। যার কারণে এ সাত কিলোমিটার সড়কের এখন এমন পর্যায়ে গেছে যে রাস্তা পিচ পাথর উঠেছে তো বটে নিচ থেকে ইট বালি সরে গিয়ে কাঁদাপানিতে পরিণত হয়েছে।


স্থানীয়রা জানান, আমনুরা থেকে মুণ্ডুমালা মাত্র সাত কিলোমিটার রাস্তার জন্য পোরশা, রহনপুর, নাচোল (আড্ডার) উপজেলার কয়েক লাখ মানুষকে ৪০ কিলোমিটার ঘুরে গোদাগাড়ী হতে রাজশাহী শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে খরচ ও সময় দুটোই বেশি লাগছে। আর ৪০ কিলোমিটার ঘুরে রাজশাহী যাতায়াতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে রোগিবহনকারী যানবহনগুলো।


আমনুরা থেকে রাজশাহী যাতায়াত করে এমন একাধিক বাস চালক জানান, মুণ্ডুমালা থেকে সাত কিলোমিটার আমনুরা সড়কটি চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। এ রাস্তায় চলতে হচ্ছে হেলে দুলে। যাত্রীরা ভয়ে জড়সড় হয়ে পড়ে।


তারা আরো জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য একযুগ ধরে সড়ক কর্তৃপক্ষকে বাস মালিক সমিতি পক্ষে অনুরোধ করা হলেও এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। বাস মালিক সমিতি প্রতিবছর এ রাস্তায় ভাঙ্গা চোরা ও বড় গর্তে নিজে থেকে ইটের খোয়া ফেলে। তবু ও কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি একবারের জন্য দেখভাল করেনি।


স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) তানোর উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মুণ্ডুমালা হতে আমনুরা ধামধুম ৭ কিলোমিটার রাস্তা শুধু সংস্কারই নয়, রাস্তার দুই পাশে তিন ফিট করে সম্প্রাসরণও করা হবে। ইতিমধ্যে এ রাস্তার জন্য প্রায় ৬ কোটির বেশি টাকার টেন্ডার আহবান করা হয়েছে। হয়তো বা চলতি বছরের শেষের দিকে কাজ শেষ হবে।


বিবার্তা/অসীম/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com