কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহসড়কটির এখন বেহাল দশা, ভরে গেছে খানাখন্দে। পাখিমারা থেকে মৎস্য বন্দর মহিপুর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই গর্তে পানি জমে, বাড়ায় বিপদ।
প্রায়শই বিকল হয়ে পড়ে পর্যটক ও যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী গাড়ি। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পর্যটক, শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। গুরুত্বপূর্ন এ সড়কটির সংস্কার কিংবা নির্মাণ কাজের কোনো উদ্যোগ নেই বলে স্থানীদের অভিযোগ।
জানা গেছে, ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে কন্ট্রাক্ট কুয়া-০১ ও ০২ আওতায় খেপুপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের দুটি প্রকল্প ২৪% নিম্নদরে কাজের বরাদ্দ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দি রূপসা ইঞ্জিনিয়ার্স লি:। সড়কটি নির্মাণের অল্প দিনের মধ্যেই পিচ-খোয়া উঠে যায়। আবার কোথাও কোথাও ধসে পড়েছে। অনেক জায়গার বিটুমিন উঠে গিয়ে ইট-বালু-খোয়া বের হয়ে গেছে।
এসব দেখে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির সম্পাদিত কাজের বিল বাবদ সাড়ে তিন কোটি টাকার একটি বিল আটকে দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বর্তমানে মামলা জটিলতায় আটকে আছে এ মহাসড়কের নির্মাণ কাজ।
একাধিক পরিবহন ও বাসচালক জানান, সড়কটির বিভিন্ন স্থান খানা খন্দে ভরা। ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে দ্বিগুন সময় লাগে। ঝাকুনিতে পর্যটকসহ যাত্রীরা হয়ে পড়ে অসুস্থ।
ব্যবসায়ী সোলায়মান বলেন, সৃষ্ট গর্তে বৃষ্টির পানি জমে সড়কের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। বিভিন্ন যানবাহন চলার সময় কাদাপানি ছিটকে সড়কের পাশের দোকানের মালামাল ও পথচারীদের জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সড়কে চলাচলকারী যানবাহন বিকল হওয়ার পাশাপাশি ছোট-বড় দুর্ঘটনা তো লেগেই আছে।
পটুয়াখালী সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন শিগগিরই দরপত্র আহবানের মাধ্যমে সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
বিবার্তা/উত্তম/সোহান
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]