শিরোনাম
পাঁচদিনেও খুলেনি মাদ্রাসা শিক্ষকের হত্যার জট
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৫
পাঁচদিনেও খুলেনি মাদ্রাসা শিক্ষকের হত্যার জট
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক এবং দেউপুর মাস্টার হ্যাচারির পরিচালক আনিসুর রহমান তুলা হত্যার পাঁচদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত হত্যা রহস্যের জট খুলেনি। হত্যার বিষয়ে পরিবারও কিছু বলতে পারছেন না। তারা পুলিশের তদন্তের উপর নির্ভর করছেন।


ঘটনার পর পরই পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহতের স্ত্রী শাহীনা।


এ ব্যাপারে নিহত তুলার ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য লিয়াকত আলী জানান, গত ২৭ জুন নিখোঁজ হওয়ার আগে রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে ছেলে সিহাবের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। পরে ভোর ৪টার দিকে তার প্রতিষ্ঠান মাস্টার হ্যাচারি থেকে শ্রমিকরা মাছ ধরে বিক্রির জন্য কোথায় নিয়ে যাবে জানার জন্য ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পায়।


ফোন বন্ধ পেয়ে টাঙ্গাইল শহরে বাসায় তার স্ত্রীর কাছে শ্রমিকরা ফোন দেয় তিনি বাসায় আছে কি না জানার জন্য। কিন্ত সেখানেও তিনি ছিলেন না।


এদিকে তিনি গ্রামের বাড়িতে আছে মনে করে তার পরিবার। সেখানে ফোন দিয়ে জানতে পারে বাড়িতেও নেই তিনি। পরে মাদ্রাসায় যেতে পারে এমন ভাবনা থেকে সেখানেও লোক পাঠানো হয়িএবং সেখানেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে না পাওয়া যাওয়ায় এলাকায় গুজব রটে যায় তুলা ঢাকায় মারা গেছেন। গুজব অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেলের দুটি মর্গে খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাওয়া যায়নি তার।


অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান না পাওয়ায় ২৮ জুন কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোশারফ হোসেনকে অবহিত করা হয়। ওসির পরামর্শে বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের ভাই গোলাম মোস্তফা বাদি হয়ে নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি ডায়েরি করেন। সাধারণ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল ওয়াহাব বিকেলে ঘটানাস্থলে যায় এবং তদন্ত কাজ শুরু করে।


সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় যুবকরা ফুটবল খেলা শেষে তার বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করে। গোসলের সময় তাদের পায়ে কিছু একটা ভারী জিনিস স্পর্শ হলে তারা আশপাশের লোকজনকে জানায়। কিছুক্ষণ পরে সংবাদ আসে পুকুর ঘাটে তুলার জুতা পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা পুকুরঘাটে যায়।


পুকুরে কিছু একটা ভারী জিনিসের স্পর্শের খবরে সবাই খোঁজাখুজি করে উঠিয়ে দেখে লাশ। পরে পরিবারের লোকজন হাত-পা ও শরীরে বস্তাভর্তি ইট বাঁধা লাশটি আনিসুর রহমান তুলা বলে সনাক্ত করেন।


এ ঘটনার পাঁচদিন পার হলেও হত্যা রহস্যের জট খুলেনি। তুলা উপজেলার সল্লা ইউনিয়নের দেউপুর গ্রামের মৃত. আব্দুস ছাত্তার মাস্টারের ছেলে।


তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াহাব জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্নজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এ পর্যন্ত তেমন কোনো তথ্য পাইনি, তবে তদন্ত কাজ অব্যাহত আছে।


বিবার্তা/তোফাজ্জল/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com