শিরোনাম
গুরুদাসপুরের কলেজগুলোতে অতিরিক্ত ভর্তি-ফি নেয়ার অভিযোগ
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০১৮, ১৮:৪০
গুরুদাসপুরের কলেজগুলোতে অতিরিক্ত ভর্তি-ফি নেয়ার অভিযোগ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে নাটোরের গুরুদাসপুরের বিভিন্ন কলেজে অতিরিক্ত ভর্তি-ফি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে এভাবে বাড়তি টাকা নেয়ায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।


শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, মফস্বল অর্থাৎ উপজেলা পর্যায়ের পৌরসভা এলাকাসহ প্রতিষ্ঠানে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, জেলা সদরের পৌরসভা এলাকার জন্য দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি হবে না। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এর অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না বলেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে। তাছাড়া দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে উল্লেখিত ফি যতদুর সম্ভব মওকুফের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।


সরকারি বিধি মোতাবেক, রেজিষ্ট্রেশন ফি ১২০, ক্রীড়া ৩০, রোভার ১৫, রেডক্রিসেন্ট ৮, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৭ এবং বিএনসিসি ৫ টাকা অর্থাৎ ১৮৫ টাকাসহ মফস্বলের কলেজগুলোতে এক হাজার টাকার অতিরিক্ত নেয়া যাবে না।


কিন্তু স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য ১ হাজার ৮০০ টাকা, খুবজীপর মোজাম্মেল হক কলেজে ১ হাজার ৫০০ টাকা, রোজী-মোজাম্মেল মহিলা কলেজে ১ হাজার ২০০ টাকা, নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজে ১ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া কারিগরী ও স্কুল অ্যান্ড কলেজে নীতিমালা অনুযায়ী ভর্তি ফি নেয়া হচ্ছে।


শিক্ষার্থীদের আরও অভিযোগ, জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের সাথে যোগসাজসে উপজেলার একমাত্র শাহীন কম্পিউটার ওই কলেজের সকল শ্রেণীতে ভর্তি ও ফরম ফিলআপ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে শিক্ষার্থীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কম্পিউটারের ওই দোকান থেকে ভর্তি হতে হচ্ছে। পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।


বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজে ৮০০টি অনুমোদিত সিট রয়েছে। মানবিক- ৩৫০, বানিজ্য- ১৫০ ও বিজ্ঞান বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। হিসাব মতে দেখা যায়, সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত ফি নেয়া হয়েছে ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।


খুবজীপুর মোজাম্মেল হক কলেজে অনুমোদিত সিট রয়েছে সাড়ে ৪০০। অতিরিক্ত ফি নেয়া হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। নাজিরপুর কলেজে অনুমোদিত সিট রয়েছে ৫০০। অতিরিক্ত ফি নেয়া হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। রোজী মোজাম্মেল মহিলা কলেজে সব মিলে ভর্তি হবে দেড়শ। এতে অতিরিক্ত ফি নেয়া হয়েছে ২১ হাজার টাকা।


তবে এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোজী-মোজাম্মেল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. ইব্রাহিম হোসেন দাবি করেন, এক হাজার দুইশত টাকা নেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকাতেও ভর্তি করানো হচ্ছে।


খুবজীপুর মোজাম্মেল হক কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু সাঈদ বলেন, বেতন ও অন্যান্য টাকাসহ এক হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১-২শ টাকার কমেও ভর্তি করা হচ্ছে।


বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম বলেন, অনলাইনের মাধ্যমে ভর্তির টাকা জমা হচ্ছে। সরকারি বিধির বাইরে কোনো অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে না।


স্থানীয় শাহীন কম্পিউটারের সাথে যোগসাজসের কথা অস্বীকার করে তিনি বলেন, অন্য কম্পিউটার অপারেটররা হয়তো বুঝতে পারছে না কীভাবে ভর্তি করতে হয়।


বিবার্তা/দিলু/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com