শিরোনাম
চট্টগ্রামে আরো ৪৪৬ হেপাটাইটিস-ই আক্রান্ত শনাক্ত
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০১৮, ১০:৩৫
চট্টগ্রামে আরো ৪৪৬ হেপাটাইটিস-ই আক্রান্ত শনাক্ত
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকায় হেপাটাইটিস-ই ভাইরাসে (জন্ডিস) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত দুই দিনে আরো ৪৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে গত দেড় মাসে ৬২৪ জন হেপাটাইটিস-ই আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৭৮ জন রোগী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকি ৪৪৬ জন নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন।


চট্টগ্রাম বিভাগীয় সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত প্রায় দেড় মাস ধরে এসব রোগীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ওয়াসার দূষিত পানির কারণেই এ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে বলে তার দাবি। অন্যদিকে ওয়াসার পানিতে রোগজীবাণু নেই বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ।


সম্প্রতি হেপাটাইটিস-ই তে আক্রান্ত হয়ে হালিশহর এলাকার তিনজন মারা যান। এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় বুধবার (২৭ জুন) জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর তথ্য চেয়ে সিভিল সার্জন নগরীর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠায়। সিভিল সার্জনের চিঠির পর বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) বেসরকারি হাসপাতালগুলো থেকে ২১৮ জন আক্রান্ত রোগীর তথ্য পাঠানো হয়। সর্বশেষ শুক্রবার (২৯ জুন) আরো ২২৮ জন আক্রান্তের খবর পায় সিভিল সার্জন অফিস।


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আজাদুর রহমান জানান, হালিশহর এলাকা এখন জন্ডিসের দুর্যোগে আক্রান্ত। ঘরে ঘরে জন্ডিস রোগী। শুধু ওয়াসার নোংরা দূষিত পানিই এর একমাত্র কারণ। শুধু হালিশহরেই নয়, গোটা চট্টগ্রামে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।


সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, এই পর্যন্ত আমরা ৬২৪ জন হেপাটাইটিস-ই তে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। গত দেড় মাস ধরে এইসব রোগী হেপাটাইটিস-ই তে আক্রান্ত হন। এদের অনেকে বর্তমানে সুস্থ হয়ে উঠছেন।


তিনি আরো বলেন, শুক্রবার আমরা ওই এলাকায় গিয়ে প্রচারপত্র বিতরণ করেছি। অনেক বাসিন্দা ওয়াসার পানিতে দুর্গন্ধ পাওয়ার বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আমরা ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে পানির ট্যাংক চেক করে দেখেছি। বেশিরভাগ পরিবারের পানির ট্যাংকে পোকামাকড়সহ নানা ময়লা পেয়েছি। ওইসব বাড়ির মালিককে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান, ওয়াসাকেই এ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জলাবদ্ধতার কারণে ওয়াসার ফেটে যাওয়া পাইপের ভেতর দিয়ে দূষিত পানি প্রবাহিত হয়েছে। অথচ ওয়াসা কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পানিতে কোনো জীবাণু নেই দাবি করে দায়িত্ব সারতে চাইছে।


তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করা হচ্ছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।


এ বিষয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, সিভিল সার্জনের কথার কোনো ভিত্তি নেই। ওয়াসা বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে হালিশহরের বিভিন্ন ভবনের ট্যাঙ্ক ও পাইপলাইন থেকে পানির নমুনা পরীক্ষা করেছে। বিশেষজ্ঞরাই বলেছেন, এ পানিতে ক্ষতিকর কোনো জীবাণু নেই।


বিবার্তা/শান্ত/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com