শিরোনাম
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে ভাঙন শুরু
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০১৮, ২১:১৭
কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে ভাঙন শুরু
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুড়িগ্রামে ধরলা নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার নদীর কড়াল গ্রাসে অন্তত ১০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। একদম খোলা আকাশের নিচে বাস করছে তারা।


গত এক সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাত এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধরলা নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। তীব্র স্রোতে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আবাদি জমি, গাছপালা, বাড়িঘর। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি বৈঠক করেছে জেলা প্রশাসন।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র মতে- মঙ্গলবার ভোর ৬টায় ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৬২ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপূত্রের পানি ২২ দশমিক ২২ (ডেঞ্জার লেভেল ২৩.৭০), নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ দশমিক ২৭ সে.মি (ডেঞ্জার লেভেল ২৬.৫০), তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২৭ দশমিক ৮০ সে.মি (ডেঞ্জার লেভেল ২৯.২০) এবং ধরলা নদীর পানি ব্রীজ পয়েন্টে ২৫ দশমিক ৮৮ সে.মি (ডেঞ্জার লেভেল ২৬.৬০)।


মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব গ্রামে গিয়ে দেখা যায় ধরলা নদীর তীব্র ভাঙন। প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা সড়কের অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। বাকিটা এখন হুমকির মুখে। নদী তীরবর্তী ভাঙন কবলিত পরিবারগুলো বাড়ীঘর সরাচ্ছেন। চোখে মুখে হা-হুতাশ। চারদিকে বাড়ছে পানি কোথাও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।



এদিকে কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়কের চর সারডোব ও ছাটকালুয়া এলাকায় পাকা সড়কটির অর্ধেকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পুরো এলাকা ঘুরে দেখা গেল নদী তীরবর্তী মানুষগুলোর আহাজারি! বাড়ি ভাংলে কোথায় যাবে- এ নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায়। এ পর্যন্ত প্রায় ১৫টি বাড়ি সড়িয়েছে। বেশিরভাগ লোকজন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গত বন্যায় বাঁধের তিনটি জায়গা ভেঙে যাওয়ায় সেদিক দিয়ে যেভাবে পানি ঢুকছে তাতে বাঁধে আশ্রয় নেয়াও নিরাপদ মনে হচ্ছে না।



কুড়িগ্রাম সদর উপজেরা নির্বাহী অফিসার আমিন আল পারভেজ জানান, ভাঙন কবলিতদের তালিকা করে তাদেরকে টিন সরবরাহ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিমসহ ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দুপুরে জিও-এনজিও এবং সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, জেলা প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৭৫৯ মে.টন জিআর চাল, ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা এবং ২ হাজার শুকনো খাবার মজুদ করা আছে।


বিবার্তা/সৌরভ/কামরুল


<<কুড়িগ্রামে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভা

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com