শিরোনাম
পাঁচ টাকা কেজি আম!
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০১৮, ০০:২৩
পাঁচ টাকা কেজি আম!
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহীর তানোর উপজেলার গোল্লাপাড়াহাটে পাকা আমের কেজি মাত্র ৫ টাকা! কথাটা শুনতে আশ্চর্য মনে হলেও গত দু'দিনে স্থানীয় হাটে এই দামেই বিক্রি হয়েছে আম।


উপজেলা জুড়ে আমের বাম্পার ফলন আর প্রচণ্ড দাবদাহে আম অনেকটা আগেই পাকতে শুরু করে। তাছাড়া রমজান মাসে আমের তেমন বিক্রি না হওয়ায় স্থানীয় বাজারদর এত কম বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।


সরেজমিনে দেখা গেছে, বিকালে গোল্লাপাড়া হাটে ন্যাংড়া ৫ থেকে ১০ টাকা, গোপালভোগ ১০ থেকে ১৫ টাকা, ক্ষিরসা ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচামিঠা ১০ থেকে ১৫ টাকা, দেশি বিভিন্ন জাতের গুটি আম ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


গোল্লাপাড়া হাট থেকে আম ক্রেতা সহকারী শিক্ষক অর্জুন প্রামানিক বলেন, প্রথমে ৫ টাকা দরে ৫ কেজি ন্যাংড়া আম কিনেছি। পরে আবার ১০ কেজি আম কিনলাম। আমের এমন কম দাম এর আগে কখনও দেখিনি।


গোল্লাপাড়া বাজারের আম ব্যবসায়ী জাবেদ আলী জানান, এবার এলাকাজুড়ে আমের ব্যাপক ফলন। প্রচণ্ড গরমে আম তাড়াতাড়ি পেকে পচে যাচ্ছে। তাই অনেকে বাগান ও বাড়ির গাছ থেকে আম এনে পানির দামে বেঁচে দিচ্ছেন। যেখানে গতবার আম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেখানে এবার মাত্র ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেকের বাড়িতেই কম-বেশি আম গাছ রয়েছে। আর রমজান মাস হওয়ায় তেমনভাবে ক্রেতা আম না কেনায় আমের বাজার এতো কম।



তানোর কৃষি ব্যাংক গেট সংলগ্ন খুচরা আম বিক্রেতা আমজাদ আলী বলেন, আমের বাজার খুব খারাপ ভাই। ৫ টাকা, ১০ টাকা থেকে সর্ব্বোচ ২৫ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি হচ্ছে। যেখানে গতবার এইখানে এমন সময় বসে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করেছি।


তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, তানোরে এবার ৩৬০ হেক্টর জমিতে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদন বেশি হওয়ায় আর রমজানে তেমন আমের চাহিদা না থাকায় আমের বাজার দর এমন নিন্মমুখী হয়েছে। তবে ঈদের পরে আমের দাম বাড়তে পারে।


বিবার্তা/অসীম/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com