শিরোনাম
ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে মনু নদ
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০১৮, ২২:৩৯
ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে মনু নদ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরইমধ্যে ধলাই নদের পাঁচটি ও মনুর তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে মনু নদ।


পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, মনু নদের পানি বিপদসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলাই নদের পানি ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।


সূত্রে জানা যায়, কমলগঞ্জ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর ও উপজেলার মুন্সীবাজার ইউনিয়নের সুরানন্দপুর, কেওয়ালিঘাট, রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর, আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারায় ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে ও ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করছে।



এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে উপজেলার মাধবপুর, ইসলামপুর, কমলগঞ্জ সদর ও আদমপুর ইউনিয়নে ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধের নয়টি স্থান।


এদিকে, মনু নদের কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল, চাতলাপুর ও টিলাগাঁও ইউনিয়নের বালিয়া এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধ সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। যার ফলে মাতাবপুর, মাদানগর, চক রণচাপ, হাসিমপুর, বাড়ইগাঁও ও মন্দিরাসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।


এছাড়া উপজেলার সাধনপুর, কাউকাপন, বাশউরী ও নোয়াগাঁও এলাকায় বাঁধ চুইয়ে ও কোনো স্থানে উপচে পানি এসে প্রায় তিনশটিরও বেশি পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।



ভারতের উজানে ভারী বর্ষণের কারণে এ দুই নদে পানি বাড়ছে। ফলে বসতবাড়ি, রাস্থাঘাট ও আউশ ধানের ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। আসন্ন ঈদের প্রস্তুতির সময় বৈরী আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।


এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পানি আরো বাড়তে পারে। এতে করে আগাম বন্যা আতঙ্কে রয়েছে মৌলভীবারের মানুষ।


পানি উনয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বিবার্তাকে জানান, ভারতের উজানে এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় মনুর পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মনুর পানি হাই ফ্লাড লেভেলে রয়েছে। আমরা ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করছি।


বিবার্তা/আরিফ/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com