শিরোনাম
‘গুরুদাসপুরের বাজারগুলো বৃষ্টিতে জলাশয়ে রূপ নেয়’
প্রকাশ : ০২ জুন ২০১৮, ১২:২২
‘গুরুদাসপুরের বাজারগুলো বৃষ্টিতে জলাশয়ে রূপ নেয়’
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নাটোরের গুরুদাসপুরের হাট-বাজারগুলো একটু বৃষ্টি হলেই যেন জলাশয়ে পরিণত হয়। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে এই জলবন্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। হাটে আসা মানুষরা জানান, লাখ লাখ টাকার টোল আদায় করা হলেও হাট-বাজার উন্নয়নের নজর নেই সংশ্লিষ্টদের।


সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার নয়াবাজার, নাজিরপুর, কাছিকাটা, বিন্যাবাড়ী, শাহীবাজারসহ এলাকার বিভিন্ন হাট একটু বৃষ্টিতেই জলাশয়ে রূপ নেয়। অপরিকল্পিত হাটের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, হাটের প্রত্যেকটি রাস্তা বা গলির দুইপাশে দোকান মালিকরা তাদের ইচ্ছেমতো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না রেখেই দোকান ঘর বা গদি ঘর নির্মাণ করেছেন। ফলে কোনোরূপ নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে উপজেলা পরিষদ অথবা ইউনিয়ন পরিষদ কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।


ধারাবারিষা ইউনিয়নের নয়াবাজার হাটের আড়তদার বাচ্চু, মান্নান, কাসেম, মতিন শাহ, রজিব শাহ, রাজ্জাক আকন্দ, আকতার আকন্দসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, এধরনের জলাবদ্ধতার কারণে কৃষকরা হাটে তাদের কৃষিপণ্য আনতে পারছে না। ফলে আর্থিকভাবে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কৃষকদেরও ক্ষতি হচ্ছে। আর যারা পণ্য বিক্রি করতে আসছে তাদেরকেও পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।


হাটের শ্রমিক আবু বক্কার জানান, রসুনের বস্তা মাথায় নিয়ে ওই পানির মধ্যে পড়ে মাজায় আঘাত পেয়েছেন। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য না নিয়ে আসায় তাদের আয়-ইনকাম কমে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে নাখেয়ে থাকতে হবে।


ভিটাকাজিপুর রসুন বিক্রি করতে আসা আব্দুল বারী জানান, একদিকে রসুনের দরপতন আবার অন্য দিকে হাটে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে হাটে রসুন নামাতেই পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।


নয়াবাজার হাটের একাধিক আড়তদার জানান, বৃষ্টির কারণে অনেক বেপারী না আসায় রসুনের দাম আরো কম হয়েছে।


নয়াবাজার হাটের রসুন ব্যবসায়ী ময়সার আলী জানান, বৃষ্টির পানি আটকে তার গদি ঘরে উঠেছে। অনেক রসুন ভিজে গেছে। ফলে তিনি রসুন কিনছেন না।


হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম জানান, রসুন ক্রেতা-বিক্রেতা যদি হাটে না আসে তাহলে আর্থিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। তিনি দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ মনির হোসেন জানান, সরেজমিনে গিয়ে জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিবার্তা/দিলু/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com